সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বর্ষণ, পায়ের তলায় এবড়ো-খেবড়ো মাটি। পা রাখাই দায়। সেই সব প্রতিকূলতা কাটিয়েও রাতভর কেরলের ওয়ানড়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ (NDRF), কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবার কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ। উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে ততই যেন স্পষ্ট হচ্ছে পরিস্থিতির ভয়াবহতা। ধ্বংসস্তুপ সরালেই উদ্ধার হচ্ছে লাশ!
ওয়ানড়ের (Wayanad Landslides) ভয়াবহ ভুমিধসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৭৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দেড়শো জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও প্রায় দুই শতাধিক মানুষ নিখোঁজ। স্থানীয়দের মতে, নিখোঁজদের জীবিত থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ওয়ানড়ের জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে হাজার হাজার টন পাথর এবং মাটির যে স্তূপ তৈরি হয়েছে, তা খুঁড়ে উদ্ধারের কাজ চালানো খুব কঠিন। ওয়ানড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্রায় নিশ্চিহ্ন। স্থানীয় চার্চ, স্কুল-কলেজের যা অবশিষ্ট আছে, সবকিছুকেই ব্যবহার করা হচ্ছে দুর্গতদের আশ্রয়স্থল এবং চিকিৎসার জন্য।
[আরও পড়ুন: ‘সংসদে একবারও ভুমিধসের কথা বলেননি কেন?’, ওয়ানড় কাণ্ডে রাহুলকে নিশানা বিজেপির]
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) জানিয়েছেন, দু’দিনের অভিযানে দেড় হাজার জনের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরানো গিয়েছে। কঠিন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "আমাদের রাজ্য এমন বেদনাদায়ক দৃশ্য আগে কখনও দেখেনি।" বিপর্যয়ের সম্ভবত এখানেই শেষ নয়। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবারও ওয়ানড়ের আশাপাশে প্রবল বর্ষণ হতে পারে। ফলে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে।
[আরও পড়ুন: ওয়ানড় কাণ্ডে তুঙ্গে রাজনীতি, ‘দায় ঠেলার চেষ্টা করবেন না’, শাহকে পালটা বিজয়নের]
মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন আজই ওয়ানড় যাচ্ছেন। সেখানে সর্বদলীয় বৈঠকেরও কথা রয়েছে। দিল্লি থেকে ইতিমধ্যেই ওয়ানড় রওনা দিয়েছেন ওয়ানড়ের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং আসন্ন উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আজই ওয়ানড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তাঁরা।