নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বাংলাদেশের ‘হাওয়া’ (Hawa) ছবি নিয়ে এপার বাংলাতেও ঝড় বয়ে গিয়েছিল। চঞ্চল চৌধুরীদের দেখার জন্য নন্দন চত্বরে ছিল তুমুল ভিড়, লম্বা লাইন। জনপ্রিয় সেই ছবি জড়াল বিতর্কে। অভিযোগ, ‘আটটা বাজে দেরি করিস না…’ গানে নাম দেওয়া হয়নি গীতিকার মনিরুদ্দিন আহমেদের। অথচ শিল্পীর নাম সিনেমার ক্রেডিট লিস্টে দেওয়া হয়নি। তাতেই শোরগোল নেটদুনিয়ায়।
বীরভূম জেলার ভারতীয় গণনাট্য সংঘের (প:ব:) সদস্য বিশ্বজিৎ দাস লেখেন, “আটটা বাজে দেরি করিস না গানটির গীতিকার ও সুরকার মনিরুদ্দিন আমেদ…উনার লেখা অসংখ্য গান গেয়েছেন স্বপ্না চক্রবর্তী, আমিনুর রসিদ, কার্তিক দাস বাউল, বাসুদেব দাস বাউল, জিতেন নন্দী এবং অনেকে…। মনিরুদ্দিন আহমেদ, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী ছিলেন…বর্তমানে মনিরুদ্দিন আহমেদের বয়স ৮১ বছর, সিউড়ি লালকুঠি পাড়াতে তুলি কলম নামের বাড়িতে থাকেন…”
[আরও পড়ুন: জন্মদিনে স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে অরিজিৎ! ছবি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা, জানালেন শুভেচ্ছা ]
এরপরই আবার বিশ্বজিৎবাবু লেখেন, “দুঃখের বিষয় এটাই যে গানটি ‘হাওয়া’ সিনেমায় ব্যবহৃত হয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ঠিকই কিন্তু গানটির রচয়িতা মনিরুদ্দিন আমেদ তাঁর যথাযথ সম্মান পেলেন না…উনার নাম ব্যবহার না করে প্রচলিত গান বলে চালিয়ে দেওয়া হল…কেন…..? লেখকের হয়ে, ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক, প্রযোজক-সহ সমস্ত কলাকূশলীদের কাছে লেখককে সঠিক মর্যাদা দেওয়ার আবেদন রাখছি…হাওয়া টিমের উচিত ছিল গানটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করে শিল্পীকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া…এই বিষয়ে ‘হাওয়া’ সিনেমা টিম দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এ আমাদের বিশ্বাস।
মনিরুদ্দিন জানান, ১৯৮৬ সালে তিনি গানটি লিখেছিলেন। তা নিয়ে একটি ক্যাসেটও হয়েছিল, যাতে তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘হাওয়া’ সিনেমায় নামটি ব্যবহার করা হয়নি। শিল্পী শুধু চান, তাঁর নামটি যেন সিনেমার ক্রেডিট লিস্টে ব্যবহার করা হয়।