শুভঙ্কর বসু ও রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মনোনয়নপত্র পেশের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC leader Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নন্দীগ্রামে (Nandigram) সাদা পোশাকে ভোটপ্রচার করছে পুলিশ। এমনকী, তৃণমূলের হয়ে এলাকায় পুলিশ টাকা ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এ নিয়ে বুধবার জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে মৌখিক অভিযোগ দায়ের করে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠক করেও তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নন্দীগ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় সাদা পোশাকে নির্বাচন প্রচারে পুলিশ তৃণমূলকে সাহায্য করছে। পুলিশ কর্মীরা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। এর আগেও একাধিকবার নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তবে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনল তাঁরা।
[আরও পড়ুন : ‘মিঠুনদা’কেই চাই, দলের অন্দরে চাহিদা বাড়ছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের]
সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “নন্দকুমার থেকে চণ্ডীপুর পর্যন্ত প্রায় সব হোটেল পুলিশ বুক করে নিয়েছে। পুলিশ কর্মীরা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এমনকী সাদা পোশাকে প্রচারও করছেন তাঁরা। পুলিশ কর্মীরা বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে বৈঠক করছেন। পুলিশ কর্মীরা এলাকায় এলাকায় গিয়ে টাকাও বিলি করছেন।” কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে শুধুমাত্র প্রথম দফা নির্বাচনের ব্যয়ে নজর রাখতে ১৮ জন ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছে কমিশন। এর মাঝেই নন্দীগ্রামে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এর পর শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের জন্য একজন ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপির সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ বাগ জানান, “ভোট প্রচারে পুলিশ রাজ্যের শাসকদলকে সাহায্য করছে। রাজ্য থেকে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জেলা থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।” এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ।” পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন, “কমিশনে অভিযোগ করুক। তদন্ত করে দেখুক কমিশন। আমরাও তো শুনছি বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক ঢোকাচ্ছে ওঁরা। প্রমাণ না পেলে অভিযোগ করব না। ওদের কাছে প্রমাণ থাকলে অভিযোগ করুক।”