ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘দিদি, ও দিদি’ সম্বোধন নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রীর এই সম্বোধনের এবার পালটা দিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর কথায়, “আমি যদি প্রধানমন্ত্রীকে বলি, ‘নরেন ও নরেন’, তাহলে মানুষ আমাকে কি ভাল বলবে?” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “প্রধানমন্ত্রীর ভাষাজ্ঞান নেই।”
ভোটের মরশুমে ‘দিদি, ও দিদি’ সম্বোধন ঘিরে বঙ্গ রাজনীতির পারদ চড়ছে। এই সম্বোধনকে নারী বিদ্বেষমূলক বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাতেও অবশ্য দমেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন সভা থেকে একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে সম্বোধন করে চলেছেন তিনি। এবার সেই সম্বোধনের পালটা প্রধানমন্ত্রীর ‘নামকরণ’ করলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত।
[আরও পড়ুন : তৃণমূলই সরকার গড়বে, হুইল চেয়ারে বসে ভোট দিয়ে মন্তব্য রেজ্জাকের]
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বাজারে হাইস্কুল মাঠে দলীয় জনসভা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। সেই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ‘দিদি, ও দিদি’ সম্বোধন নিয়ে এদিন মুখ খোলেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,”প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলাকে বলছে, ‘দিদি, ও দিদি’। লজ্জা লাগা দরকার। নরেন্দ্র মোদির ভাষাজ্ঞান নেই।”এই সভা থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন অনুব্রত। বলেন, “২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার একটাও পালন করেনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঁচল ভরে উন্নয়ন নিয়ে যান।” সভা থেকে অনুব্রতর কটাক্ষ, “দেশের জন্য কোনও ভাল কাজ করেননি নরেন্দ্র মোদি। তাতেও গদি ছাড়বে না। এবার ছারপোকা দিয়ে গদি ছাড়াতে হবে।”
[আরও পড়ুন : জন্মদিনে বাংলায় চিঠি লিখে মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোদি, উত্তর এসেছিল গুজরাটিতে]
এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন অনুব্রত। বলেন, “আমি দলের সামান্য কর্মী। আমি যদি নেতা হতাম তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেইমানি করতাম। আমিও একটা মীরজাফর হতাম ।আমি এমএলএ নই, এমপি নই, আমি কাউন্সিলরও নই। আমি শুধু দলের কর্মী।” এদিনের সভা থেকে অনুব্রত চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, “তৃতীয় দফার ভোটে আমরা ৩১টির মধ্যে ৩১টি আসনেই জিতব। চ্যালেঞ্জ করলাম এবারের নির্বাচনে আমরা ২২০ থেকে ২৩০ টা আসন পাব।”
দেখুন ভিডিও: