সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ভোটের মরশুমে তপ্ত বাংলা। দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে, বাড়ছে অশান্তিও। একদিকে শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে (Kharagpur) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সভার আগে তাঁর হোর্ডিং, পোস্টার ছেঁড়া, আরেকদিকে কেশপুরে বিজেপি পার্টি অফিসে হামলার ঘটনা। এছাড়া শনিবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
খড়গপুর বিএনআর ময়দানে মোদির নির্বাচনী জনসভা শনিবার। কিন্তু এদিন সকালেই দেখা যায়, তাঁর সভামঞ্চের পিছনের দিকে প্রধানমন্ত্রী ছবি দেওয়া হোর্ডিং, পোস্টার ছেঁড়া। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেলা বাড়তে আরেকদফা অশান্তি।সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের রাস্তা আটকানো হচ্ছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে মঞ্চ থেকে অভিযোগ করেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ”পুলিশের সাহায্য লাগবে না। দলের স্বেচ্ছাসেবকরা দরকারে বাঁশের গেট ভেঙে দাও। সবাইকে আসতে দাও।” উল্লেখ্য, খড়গপুর স্টেশন থেকে মাঠে আসার পথ বন্ধই ছিল নিরাপত্তার স্বার্থে।
[আরও পডুন: মোদির সফরের আগেই উত্তপ্ত খড়গপুর, রাতের অন্ধকারে পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ]
একইদিনে রাজনৈতিক অশান্তি জেলার আরেক প্রান্তে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও বিজেপির পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুরও চলে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি শক্তিশালী হচ্ছে দেখেই ভয় পেয়েছে শাসকদল। তাই বিজেপিকে আটকাতে এমন পরিকল্পিত হামলা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, জগদ্দল এলাকায় সেখানকার বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্যর দেওয়াল লিখনের সময়ে তৃণমূলের বাইক বাহিনী হানা দিয়ে তা রুখে দেয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২ বিজেপি কর্মী আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি বলে খবর। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়ায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য। তিনি আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যান। অভিযোগ করেন, বিজেপির প্রচারে বাধা দিতেই তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টি বিজেপির ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ বলেই ব্যাখ্যা করছে।