টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: আগামী ১ তারিখ ভোট বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। তার আগেই এখানকার এক তৃণমূল কার্যালয়ে বোমা (Bombing) বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়ল তীব্র চাঞ্চল্য। বিস্ফোরণের জেরে ৪ জন জখম হয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আহতদের ভরতি করা হয়েছে আরামবাগ হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জয়পুরের মুরারিগঞ্জে তৃণমূল (TMC) পার্টি অফিসে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আচমকাই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। পার্টি অফিসে থাকা কর্মীরা জখম হন। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল কার্যালয়ের ভিতরেই বোমা মজুত ছিল। তা ফেটেই এত বড় দুর্ঘটনা। জয়পুরে সিপিএমের (CPM) এরিয়া কমিটির সম্পাদক মানিক রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল পার্টি অফিসের মধ্যেই বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ভোটের আগে এখানকার পরিস্থিতি ঠিক কেমন। আবার তৃণমূল নেতৃত্বের পালটা দাবি, কার্যালয়ে কয়েকজন মিলে কাজ করার সময়ে সিপিএম কর্মী,সমর্থকরাই তাঁদের উপর বোমাবাজি করেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলার নির্বাচনে দলবদলুদের ব্যর্থতার নজিরই বেশি! অতীত রেকর্ড চিন্তায় রাখবে বিজেপিকে]
এবারে বঙ্গের ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের কাছে কার্যত চ্যালেঞ্জ। তাই ভোটের অনেক আগে থেকেই স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও নানা জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ, বোমাবাজির মতো ঘটনা ঘটছে। তবে শুক্রবার বাঁকুড়ায় তৃণমূলের কার্যালয়ের ভিতরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা অন্য মাত্রা দিচ্ছে। তবে কি শাসকদলের কার্যালয়েই বোমা বাঁধার সময় এই বিপত্তি? ভোটের আগে কি শাসকদলের সদস্যরাই এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত? এসব প্রশ্ন উঠছেই বিরোধীদের তরফে।