ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই কেন্দ্রেই থাকতে হবে। পড়ে থাকতে হবে টেবিল আঁকড়ে। কোনও অবস্থাতেই গণনার স্থল অথবা কেন্দ্র ছেড়ে চলে আসা যাবে না। শেষ পর্যন্ত থাকতেই হবে। দুই-তৃতীয়াংশ আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরবেই তৃণমূল। বিশেষ নজর দিতে হবে পোস্টাল ব্যালটে। ভোটপর্ব শেষে গণনার ঠিক আগে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করে কড়াভাবে এই নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকী গণনাকেন্দ্রে অন্য কোনও দলের কারও কাছ থেকে কোনও খাবার না নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
বঙ্গে আট দফা ভোটে বিজেপি ইভিএম কারচুপি করছে, এই আশঙ্কার কথা বারবারই শোনা যাচ্ছিল তৃণমূল (TMC) নেতা, কর্মীদের গলায়। প্রচারে গিয়ে এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে। এবার গণনার আগে বিশেষ বার্তা দিতে দলীয় প্রার্থী, এজেন্টদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠকে বসলেন তিনি। শুক্রবার দুপুর তিনটের আগে কালীঘাটের বাড়িতে শুরু হয় এই বৈঠক। সূত্রের খবর, ভিডিও কনফারেন্সে প্রত্যেক প্রার্থী, এজেন্টের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ, ”গণনাকেন্দ্র ছেড়ে যাবেন না। শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে।”
[আরও পডুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে খোলা হোক সেফ হোম, উপাচার্যকে চিঠি পড়ুয়াদের]
বৈঠকে তাঁর আরও বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমের একাংশের সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে। তাই গণনার শুরু থেকেই হয়তো দেখা যাবে, বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে চিন্তার কিছু নেই। দিনের শেষে তৃণমূলই জিতছে, তৃণমূলই জিতবে। তাঁর মতে, গণনাকেন্দ্র ছেড়ে বেরনোর অর্থ ময়দান ছেড়ে দেওয়া। গণনাকেন্দ্রে কোনও সমস্যা হলে দলকে জানাতে হবে। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ”আমাদের প্রচুর আসন আসবে, তা নিশ্চিত। আমাদের জয় নিশ্চিত। কিন্তু আসনগুলিতে বিজেপি গন্ডগোল বাঁধানোর চেষ্টা করবে। সতর্ক থাকবেন। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে আমরা প্রথমদিকে হয়তো পিছিয়ে থাকব, কিন্তু কেউ মন খারাপ করে উঠে যাবেন না।”
[আরও পডুন: করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হোক মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক, শিক্ষামন্ত্রীকে আবেদন পরীক্ষার্থীদের]
এদিন মমতার পাশাপাশি প্রার্থী ও এজেন্টদের ভোকাল টনিক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)। এক্সিট পোলের কথা উল্লেখ করে তাঁর বার্তা, সমস্ত এক্সিট পোলে তৃণমূল এগিয়ে। সুতরাং, নিজেদের উপর ভরসা রাখতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরছে তৃণমূল। ভোটপর্ব পেরিয়ে গণনার আগে এভাবেই দলের প্রার্থীদের আশু কর্তব্য বেঁধে দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।