রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ২০ বছর বাদে সংসদীয় রাজনীতির ময়দানে লড়াই করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর একটু খাপছাড়া লেগেছিল তাঁকে। শুক্রবার বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে যাওয়া মুকুল রায়কে (Mukul Roy) দেখা গিয়েছিল, বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক এড়িয়ে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন। জল্পনা উসকে উঠেছিল ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে পদ্মশিবিরের এই নেতার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে। তবে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই টুইট করে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিলেন বঙ্গ রাজনীতির এই দুঁদে নেতা। টুইট করলেন, বিজেপির সৈনিক হয়েই পশ্চিমবঙ্গে ‘গণতন্ত্র’ ফেরানোর কাজ করবেন। সমস্ত জল্পনা থামাতে চাইছি। নিজের রাজনৈতিক পথে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রায় ২০ বছর পর নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছিলেন মুকুল রায়। বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি অনেক কম প্রচার করেও কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বেশ বড় ব্যবধানেই জিতেছেন। তবে শুক্রবার বিধায়ক পদে শপথ নিতে বিধানসভায় তাঁর আচরণ কিন্তু উসকে দিয়েছিল একাধিক জল্পনা। এদিন বিধানসভা কক্ষে শপথ গ্রহণের পর মুকুল তৃণমূল (TMC) পরিষদীয় দলের ঘরে যান। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন, অন্যদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে চলে যান। একটিবারও ঢোকেননি তাঁর নিজের দল বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে। এমনকী পরিষদীয় দলের বৈঠকও এড়িয়ে গিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কোভিড দেহ সৎকারে দুই নয়া শ্মশান ও এক কবরস্থান, টেন্ডার ডাকল কলকাতা পুরসভা]
এর পরপরই তাঁকে নিয়ে জল্পনা উসকে উঠেছিল, ভোটে জিতে তবে কি ঘর ওয়াপসির কথা ভাবছেন একদা তৃণমূলের ‘চাণক্য’ বলে পরিচিত অভিজ্ঞ নেতা? নইলে বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক এড়িয়ে কেনই বা বিধানসভায় তৃণমূলের ঘরে যাবেন? অনেকেই মনে করছিলেন, মুকুল রায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ প্রত্যাশা করেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) সূক্ষ্ম প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং শুভেন্দুই এগিয়ে। তাই হয়ত মুকুলের মনোভাব বদলাচ্ছে। কিন্তু শনিবার টুইটে সেসব উড়িয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রাজনৈতিক লক্ষ্যে অবিচল। বিজেপির সৈনিক হিসেবেই কাজ করে চলবেন। সকলের কাছে অনুরোধ, অযথা জল্পনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।