ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বেহালা পশ্চিম (Behala Paschim) কেন্দ্রের ক্লাবগুলোকে দুষ্কৃতীদের ডেরা বানিয়ে তুলেছে তৃণমূল! নির্বাচন কমিশনে এই অভিযোগ জানিয়ে কটাক্ষের শিকার বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। রাজনৈতিকভাবে এই অভিযোগের বিরোধিতায় সরব বেহালার তৃণমূল নেতৃত্ব। একাধিক ক্লাবও শ্রাবন্তীর এই চিঠির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
গত ২ এপ্রিল কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। তাতে বেহালা পশ্চিম এলাকার ক্লাবে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।লিখেছিলেন, “স্থানীয় ক্লাবগুলি সক্রিয়ভাবে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করছে। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নিয়মিত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ক্লাবগুলিতেই দুর্বৃত্তদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নির্বাচনের সময় গোলমাল পাকাতে পারে।” এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহল তো বটেই, চটে গিয়েছেন স্থানীয় ক্লাবের কর্মকর্তারাও। তবে কোনও ক্লাবকর্তাই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করে সরাসরি রাজনীতিতে জড়াতে চাননি। রাজনৈতিক মহলের মত, বেহালার ক্লাবগুলি বহু পুরনো। তাদের সদস্যদের মধ্যে নানা রাজনৈতিক মতবাদের মানুষ আছেন। কিন্তু সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বেহালার পুজো কমিটিগুলো, শহরের পুজোয় যাদের অবদান সিংহভাগ। এমন ক্লাবগুলির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করার অর্থ তাদের মর্যাদায় ধাক্কা। যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় সংস্কৃতিতে। শ্রাবন্তী বারবার প্রচারে গিয়ে নিজেকে বেহালার ‘ভূমিকন্যা’ বলে দাবি করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগ করে, নিজেই নিজের ক্ষতি করলেন বলে মত অভিজ্ঞমহলের।
[আরও পড়ুন: বুক না কেটে ভ্যাটস পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার, রোগীর প্রাণ বাঁচিয়ে নজির SSKM-এর]
শ্রাবন্তীর অভিযোগের সরাসরি জবাব দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট অঞ্জন দাস বলেছেন, “অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য।” তাঁর কথায়, “বেহালার ক্লাবগুলো সমাজবিরোধীদের আখড়া, এর থেকে বড় মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। যাঁরা এই ধরনের কথা বলছেন, তাঁরা বেহালাকে ভাল করে চেনেন না। কারণ, বাম আমলে বেহালায় মস্তানদের জব্দ করতে এখানকার ক্লাবগুলোই এগিয়ে এসেছিল।” তিনি বলেন, “তৃণমূল দল দেখে কোনও ক্লাবকে অর্থ দেয়নি। সরকার যে সমস্ত ক্লাবকে টাকা দিয়েছে, তাদের রং দেখেনি। বিজেপি প্রার্থী যা বলেছেন, তাতে বেহালার মানুষকেই অসম্মান করা হয়েছে। এই ক্লাবগুলোর সঙ্গে বেহালার মানুষের আবেগ জড়িয়ে।” এ প্রসঙ্গেই অঞ্জনবাবু আরও বলেন, “আসলে আগে থেকেই হারের কারণ সাজিয়ে রাখছেন বিজেপি প্রার্থী। রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা হবে।”