কলহার মুখোপাধ্যায়: পঞ্চম দফার ভোটে (West Bengal Assembly Elections) তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেকের শান্তিনগর। রীতিমতো ইটবৃষ্টিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী। দীর্ঘক্ষণ পর খানিকটা শান্ত হয় এলাকা।
পঞ্চম দফার শুরু থেকেই জেলায় জেলায় চলছে অশান্তি। বেলা ১০ টা নাগাদ হঠাৎই সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকায় বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ক্রমেই তা হাতাহাতিতে গড়ায়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইটবৃষ্টি হয়। গোটা রাস্তা ভরে যায় ইটে। মারধর করা হয় মহিলাদেরও। জখম হন দু’পক্ষের অনেকেই। খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। লাঠিচার্জও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতেই মাইকিং করে জমায়েত হটানোর চেষ্টা করা হয়। ভোটারদের বুথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি বহিরাগতদের এলাকা থেকে বের করে দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বারাসত জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, প্রচুর কোভিড ভ্যাকসিন নষ্টের আশঙ্কা]
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে তাদের উপর।বিজেপির পালটা অভিযোগ, তৃণমূলের তরফে ২ তারিখের পর তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে, মারধরও করা হয়েছে। অশান্তির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান বিধাননগরের বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত ও তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু। সব্যসাচীর অভিযোগ, বিধাননগর দক্ষিণ থানার এসআইয়ের নেতৃত্বে পরিকল্পনা মাফিকভাবেই মারধর করা হয়েছে। পালটা দিয়েছেন সুজিতও। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থীই ভোটারদের লাইন থেকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন। সেই কারণেই স্থানীয়রা ক্ষেপে যায়।
উল্লেখ্য, এদিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন সুজিত বসু।বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে ভিতরে যান তিনি। একইভাবে কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রও বাধার মুখে পড়েন। তাঁর জামার বুক পকেটে হাত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে এদিন সকাল থেকেই খোশমেজাজে বুথ পরিদর্শন করেন সব্যসাচী দত্ত।
দেখুন ভিডিও: