সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারীর বিভিন্ন বুথে ঘুরে ভোট তদারকি করছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস কুমার। সেই সময় পর পর চারটি বুথে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। দ্রুত হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করে কমিশন। জানিয়ে দেয়, বৈধ পরিচয়পত্র থাকলে প্রার্থীকে বুথে ঢোকা থেকে আটকানো যাবে না। তার পরেও তাঁকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আটকানো হয় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে।
সোমবার রাজ্যের পাঁচ জেলার মোট ৩৪টি আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী ও বালিগঞ্জ। ভোটের দিন সকাল থেকে বুথে বুথে যাচ্ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস কুমার। কিন্তু সকাল বেলা বুথে ঢোকার সময় তাঁকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল প্রার্থী পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন। এর পরই কমিশন হস্তক্ষেপ করে।
[আরও পড়ুন : অনুমতি মেলেনি চিকিৎসকদের, প্রথমবার বিধানসভা ভোট দিচ্ছেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য]
বৈধ পরিচয়পত্র থাকার পরও বুথে ঢুকতে তৃণমূল প্রার্থীকে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা জানতে চায় কমিশন। রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে এ বিষয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় তারা। উল্লেখ করেন সুজিত বসুর ঘটনার কথাও। প্রসঙ্গত. বিধাননগর এলাকায় ভোটের দিন বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসুকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সূত্রের খবর, এদিন কমিশনের নির্দেশের পরও বুথে ঢুকতে পারেননি দেবাশিসবাবু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাস কলকাতায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ, এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় এবং ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
অন্যদিকে গার্ডেনরিচের বাত্তিকোলা এলাকায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম এবং কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ মুখতার। অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরনোর পর ভোটারদের ভোটার স্লিপ পরীক্ষা করছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। বাধা দিলে এক যুবককে চড় মারা হয় বলেও অভিযোগ করেন ফিরহাদ। অব্যবস্থা দেখতে পেয়ে স্কুটার নিয়ে ধাওয়া করেছিলেন তিনি। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তৃণমূল প্রার্থী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহম্মদ মুখতার।