শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বুথে ভোট প্রক্রিয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। অথচ জনপ্রিয় নায়িকাকে কাছে পেয়ে নিজের দায়িত্ব ছেড়ে সটান বুথের বাইরে বেরিয়ে এলেন সেকেন্ড পোলিং অফিসার। তুললেন সেলফিও। আর তাঁর এই কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিল কমিশন। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অভিযুক্ত আধিকারিককে।
তারকা বলে কথা। যতই নির্বাচনী বিধিনিষেধ থাকুক, রুপোলি পর্দায় যাঁকে দেখে রোজ মুগ্ধ হন, তাঁকে হাতের সামনে পেলে কি আর উচ্ছ্বাস দূরে সরিয়ে রাখা যায়? মোটেই না।তাই নিজের কর্তব্যও ভুলে গেলেন সেকেন্ড পোলিং অফিসার।শনিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা আসনের পান্ডাপাড়া জুনিয়র বেসিক স্কুলের ১৭/১৫৫ নম্বর বুথে ভোট দেন সাংসদ নায়িকা মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। অভিযোগ, ভোট দিতে ঢোকার পর থেকেই নায়িকার সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করছিলেন সেকেন্ড পোলিং অফিসার। সেই সময় প্রথমে তাঁকে সতর্ক করেন মিমি। বলেন, “আপনার চাকরিটাও যাবে, আমারটাও যাবে।” এর পর রুপোলি পর্দার তারকা তথা সাংসদের ভোট দেওয়া শেষ হতেই ফের তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার আবদার করেন ওই পোলিং অফিসার। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে বেরিয়ে আসেন সেকেন্ড পোলিং অফিসার। নায়িকার সঙ্গে সেলফিও তোলেন তিনি।
[আরও পড়ুন : পাহাড়ে অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই গুরুং-ঘিসিংদের! দু’পক্ষই বলছে, ‘জয় নিশ্চিত’]
নির্বাচনীবিধি বলছে, বুথ ছেড়ে পোলিং অফিসারের বাইরে বেরিয়ে আসা নিয়ম বিরুদ্ধ। এতে একদিকে ভোটপ্রক্রিয়ায় বাধা পড়তে পারে। অন্যদিকে ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এদিন সেই নিয়ম ভাঙেন ওই সেকেন্ড পোলিং অফিসার। এর পরই সেকেন্ড পোলিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
এই ঘটনার আগে তাই চণ্ডীতলার বিজেপি (BJP) প্রার্থী যশ দাশগুপ্তকে ঘিরে ধরে নির্বাচন কমিশনের কর্মীদেরই ছবি তোলার হিড়িক পড়েছিল। এই দৃশ্যে হতবাক হয়েছিল খোদ নির্বাচন কমিশনও (Election commission)। বড়কর্তাদের শোকজের মুখে পড়তে হয় কর্মীদের।