ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার ভোটে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কমিশন বিজেপির তাবেদারি করছে বলে বারবার কটাক্ষ করেছেন তিনি। এবার কমিশনকে তুলোধোনা করলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে লিখলেন, “নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের প্রতি নির্বাচন কমিশনের দাসত্ব নোংরামির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।” শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) আগামী তিনদিন মমতা-সহ রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। এ প্রসঙ্গে অভিষেকের কটাক্ষ, “মানুষের সঙ্গে দেখা করায় মমতাকে বাধা দিতে পারেন। কিন্তু মানুষের মন থেকে তাঁকে সরাবেন কী করে?”
উল্লেখ্য, রবিবারই শীতলকুচিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা্ করতে যাবেন বলেছিলেন মমতা। কিন্তু কোচবিহারের ৯ বিধানসভায় আগামী ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রবেশ করতে পারবেন না বলে নির্দেশিকা জারি করে কমিশন। এর পরই রবিবার সকালে টুইট করে কমিশনকে তুলোধোনা করেন মমতা। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টুইট করলেন অভিষেকও (Abhishek Banerjee)।
[আরও পড়ুন : শীতলকুচির মৃত্যু ছাপ ফেলেছে মনে, বন্দুক ছেড়ে হাতে লাঠি জওয়ানদের]
তৃণমূলের যুব সভাপতি লিখলেন, “নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের প্রতি নির্বাচন কমিশনের দাসত্ব নোংরামির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে গিয়েছে বিজেপি। কমিশন অন্তত নিরপেক্ষতার ভান করতে পারত।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শীতলকুচি যেতে না দেওয়া প্রসঙ্গেও নির্বাচন কমিশনকে বিঁধলেন অভিষেক। লিখলেন, “মমতাকে নিজের লোকেদের সঙ্গে দেখা করা থেকে ৩ দিনের জন্য আটকাতে পার। কিন্তু মানুষের মন থেকে তাঁকে সরাবেন কী করে?”
এদিকে একই ইস্যুতে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা বিধানসভার নির্বাচনী সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বললেন,”ভোটের নামে কাল গুলিতে ৪ জনকে মেরে দিয়েছে। এতবড় গণহত্যা আগে হয়নি। ধিক্কার অমিত শাহকে। ধিক্কার গণহত্যার নায়ককে।” এর পরই তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, “জোর করে বাংলা দখল? আর কত হত্যা হবে নরেন্দ্র মোদি?”