সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট চলাকালীন ফের দলবদল। এবার সংযুক্ত মোর্চার অন্যতম জোট শরিক আইএসএফে ভাঙন ধরাল রাজ্যের শাসকদল। আইএসএফ (ISF) থেকে বেশ কয়েকজন সদস্য সোমবার যোগ দিলেন তৃণমূলে (TMC)। এদিন তৃণমূল ভবনে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিলেন আইএসএফ সদস্য কওসর আলি মল্লিক ওরফে হাজি মহম্মদ, আবদুল মেনন, আবদুল মাহবুদ। ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মতে, সিপিএমের সঙ্গে আইএসএফের জোট নিয়ে তাঁদের আদর্শগত আপত্তি রয়েছে। তাই সেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ। যার আনুষ্ঠানিক নাম – সংযুক্ত মোর্চা। ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ ব্রিগেডের মঞ্চে বাম নেতাদের পাশাপাশি বক্তব্য রেখেছেন আইএসএফ প্রতিষ্ঠাতা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। যদিও এই জোটের আরেক শরিক কংগ্রেস মোটেই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের অন্তর্ভূক্তি ভালভাবে মেনে নেয়নি। আসন বণ্টন নিয়েও যথেষ্ট জটিলতা হয়েছে। শেষপর্যন্ত অবশ্য নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে আসন ভাগাভাগি করেছে বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ। কিন্তু এরপরও আইএসএফ-বামের সমীকরণ মেনে নিতে পারেননি দলেরই কেউ কেউ। তাঁরাই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপির প্রচারে চিকিৎসকদের ‘ঘুষখোর’ সম্বোধন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন ক্ষুব্ধ ডাক্তাররা]
সোমবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে পৌঁছন কওসর আলি মল্লিক ওরফে হাজি মহম্মদ, আবদুল মেনন, আবদুল মাহবুদ। এঁদের মধ্যে হাজি আইএসএফ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুই ২৪ পরগনার পর্যবেক্ষক। আবদুল মেনন এবং আবদুল মাহবুদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। অর্থাৎ তিনজনই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এঁদের বক্তব্য, একদা বামেদের বিরুদ্ধেই মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন আব্বাসরা, এখন মমতার বিরুদ্ধে গিয়ে ফের বামেদেরই হাত ধরলে তা কীভাবে সমর্থনযোগ্য হয়? এখন ‘কমরেড আব্বাস সিদ্দিকি’র অধীনে তাঁরা আর রাজনীতি করতে চান না বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সকলকে এদিন দলে স্বাগত জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।