সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট শুরুর আগে থেকেই আইএসএফের (ISF) উপর হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও আইএসএফ এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা, কোথাও আবার দলীয় কর্মীদের বাধাদান। এবার আরও বড় অভিযোগ উঠল। মগরাহাট পশ্চিমের আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলাম ভোট শুরুর আগে বুথে ঢুকতে বাধা পান। নেত্রা হাইস্কুলের ভোটকেন্দ্রের সামনেই ধরনায় বসে পড়েন তিনি। বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বুথে ২ ঘণ্টা ধরে বসে থাকতে পারেন, তাহলে আমি কেন পারব না? আমাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যতক্ষণ না এর বিহিত হয়, ততক্ষণ এভাবে বসে থাকব।”
ভোট শুরুর আগেই মগরাহাট পশ্চিম (Magrahat Paschim) কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার জোট, আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলাম পরিস্থিতি পরিদর্শনে নেত্রা হাইস্কুলের বুথে ঢুকতে যান। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে বাধা দেন বলে অভিযোগ। প্রার্থী প্রথমে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাতেও জওয়ানরা তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দেননি। তাতেই ক্ষুব্ধ হন মইদুল। বুথের বাইরে ধরনায় বসে পড়েন।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগের রাতে গোঘাটের মহিলা বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন! পুলিশের জালে ৪ অভিযুক্ত]
সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি স্পষ্টই বলেন, ”গতকাল থেকেই আমাদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে, বুথে ঢুকতে দিচ্ছে না। আজ যখন আমি বিভিন্ন বুথ ঘুরতে ঘুরতে এই কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছি, তখন আমাকেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ, তাঁরাই আমাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে আঙুল উঁচিয়ে তাড়া করছে। এসব কী? আমি প্রার্থী হিসেবে অপমানিত বোধ করছি। যতক্ষণ না এর সুরাহা হয়, ততক্ষণ এভাবে বসে থাকব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বুথে ২ ঘণ্টা ধরে বসে থাকতে পারেন, তাহলে আমি কেন পারব না?”
[আরও পড়ুন: নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে, উত্তপ্ত তারকেশ্বর]
মইদুলের ধরনা চলাকালীনই বুথে পৌঁছন মগরাহাটের পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। মইদুলের সঙ্গে তাঁর বচসা বাঁধে। তাতে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরে অবশ্য তা মিটে যায়। তবে আইএসএফ প্রার্থীর পদক্ষেপ দেখে অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁর অনুপ্রেরণা। ১ এপ্রিল, নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বয়াল-২’এর ৭ নং বুথে ভোটদানে বাধার অভিযোগ পেয়ে সেখানে চলে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে টানা ২ ঘণ্টা তিনি বসে প্রায় এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই ঘটনাই অনুসরণ করলেন আইএসএফ মইদুল ইসলাম।