সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল একসঙ্গে ২৯১টি আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করলেও বিজেপি (BJP) তা করেনি। বেশ কয়েকটি দফায় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ্যে এনেছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার বাকি থাকা ১৩টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল বিজেপি। তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক। কিন্তু সেখানে নাম নেই মিঠুন চক্রবর্তীর। অর্থাৎ প্রার্থী হলেন না ‘মহাগুরু’। সেই সঙ্গে তালিকায় ঠাঁই পেলেন না একাধিক তারকা।
সম্প্রতি কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় (Kashipur Belgachhia) বোনের বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, ওই কেন্দ্র থেকেই বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সুপারস্টার। কিন্তু বিজেপি বাকি থাকা ১৩ টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতেই দেখা গেল সেখানে নেই ‘মহাগুরু’র নাম। কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লড়বেন শিবাজী সিংহরায়।
বহুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রিমঝিম মিত্র, কাঞ্চনা মৈত্র, রূপা ভট্টাচার্য, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপাঞ্জনা, অনিন্দ্য, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্নো মিত্ররা। দলের একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে রূপা, কাঞ্চনা, রিমঝিমদের। পথে নেমে আন্দোলন করে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পেলেন না তাঁরা। পার্নো মিত্র বছর খানেক আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি তাঁকে। তা সত্ত্বেও বরানগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে ছেড়েছে বিজেপি। একইভাবে সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া যশ দাশগুপ্ত, শ্রাবন্তী, পায়েলের হাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসনের ভার দিয়েছে দল। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বহুদিন বিজেপির সঙ্গে থাকা তারকারা। দলের এই আচরণ কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।
[আরও পড়ুন: অধিকারী গড়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে শিশির, সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা]
এদিকে বঙ্গ বিজেপিতে পরিচিত মুখ সায়ন্তন বসু (Sayantan)। দলের সমস্ত কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। পথে নেমে আন্দোলন করেন। বহুবার গ্রেপ্তারির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু প্রার্থীতালিকায় নাম মতো লড়াকু নেতার। কিন্তু কিছুদিন আগে তৃণমূল থেকে আসা বিশ্বজিৎ দাসকে টিকিট দিয়েছে দল। এবার নির্বাচনে লড়ার সুযোগ পাননি তথাগত রায়ও। বহু সাংসদকে বিজেপি প্রার্থী করলেও বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না রাজ্য বিজেপির দিলীপ ঘোষও।