shono
Advertisement

টিকিট না পেয়ে ‘ফুল’বদল, বিজেপিতে গিয়েও প্রার্থী হতে পারলেন না যাঁরা

আশাভঙ্গ হওয়ায় অনেকে আবার ফেরার কথা ভাবছেন।
Posted: 04:53 PM Mar 19, 2021Updated: 05:03 PM Mar 19, 2021

শুভজিৎ মণ্ডল: চাওয়া আর পাওয়ার হিসেব কি কোনওদিনই মেলে? বোধহয় না। আর মেলে না বলেই এত হা-হুতাশ, এত ভাবনাচিন্তা, এত অঙ্ক কষে তবে এগোনো। কিন্তু অন্তিমত সমীকরণের সেই ‘এক্স’ ফ্যাক্টর অধরাই থেকে যায়। সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতির আবহে সেই হিসেবের গরমিলটা যেন বেশি বেশি করে সামনে চলে আসছে। কী ভেবেছিলেন আর কী হল? এই দ্বন্দ্ব যে কবে কাটবে রাজনীতিকদের একাংশের, তা তাঁরাও জানেন না। বলা হচ্ছে তৃণমূলত্যাগী (TMC) বিজেপি (BJP) নেতাদের কথা, শিবির বদলেও ভোটের টিকিটের শিকে ছেঁড়েনি যাঁদের। ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী হতে না পেরে তড়িঘড়ি পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েও যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁদের কি দু’কূলই গেল না? বঙ্গ-রাজনীতির ভোটরঙ্গে এসবই এখন অতি আবশ্যিক প্রশ্ন হিসেবে ফিরে ফিরে আসছে।

Advertisement

এই তালিকায় প্রথম নামটাই আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অতি ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সোনালি গুহ। সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের কয়েকবারের বিধায়ক, রাজ্যের প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার একুশের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমদিকে হয়ত কিছু ঠিক করতে পারেননি, কিন্তু পরে তিনি বিজেপির শরণাপন্ন হয়েছেন। বলেছেন, ”প্রার্থীপদ চাই না, শুধু একটু সম্মান চাই। তৃণমূলে অসম্মানিত হয়েছি।বিজেপিতে সাধারণ কর্মীর মতো কাজ করব।” মনে করা হচ্ছিল, এবার হয়ত একুশের ভোট ময়দানের সৈনিক হতে পারেন গেরুয়া শিবিরের সোনালি।কিন্তু নাহ, প্রার্থী হওয়ার শিকে মোটেই ছিঁড়ল না সোনালির। মাত্র ১৮ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে বাকি রেখেছে বিজেপি। তার মধ্যে কি সোনালির স্থান হবে? সম্ভাবনা যে ক্ষীণ, তা বুঝছেন তিনিও।

[আরও পড়ুন: ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কা, দলীয় কর্মীদের ধাপে ধাপে সতর্কতার পাঠ দিলেন মমতা]

সরলা মুর্মু, মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তৃণমূল তাঁকে হবিবপুর কেন্দ্রে ভোট ময়দানের সৈনিক করেছিল। কিন্তু সেই কেন্দ্র তাঁর নাপসন্দ। তিনি চেয়েছিলেন মালদহ কেন্দ্র। কিন্তু সরলা মুর্মুর পছন্দের আসন মালদহ তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। অথচ তিনি তফসিলি উপজাতির প্রতিনিধি। ফলে বিজেপির তরফে প্রাথমিক সম্মতি থাকলেও ওই আসনে সরলার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্ভব হল না। ফলে তড়িঘড়ি শিবির বদল করেও লাভ হল না সরলার। যদিও সরলার দাবি, প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে নেই তাঁর। দলে অনেক সমস্যা ছিল, সেই কারণেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।

সরলা মুর্মু

দীপেন্দু বিশ্বাস, বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক। কিন্তু একুশের ভোটে ঘাসফুল শিবির আর তাঁকে লড়াইয়ের সুযোগ দেয়নি। ক্ষুব্ধ দীপেন্দু জার্সি বদলে পদ্ম শিবিরে গিয়েছেন। তারপরও অবশ্য প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাননি প্রাক্তন ফুটবলার। একই পরিস্থিতি নদিয়া জেলা সভাপতি প্রবীণ গৌরীশংকর দত্তরও। তেহট্ট আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হতে না পেরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তবু প্রার্থীভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল না। গৌরীশংকরের সঙ্গে সমব্যথী অশীতিপর জটু লাহিড়িও। শিবপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে চেয়ে তিনি বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তবে গেরুয়া শিবিরও তাঁকে ফিরিয়েছে। কোনও কেন্দ্রেই এখনও টিকিট পাননি তিনি।

দীপেন্দু বিশ্বাস

[আরও পড়ুন: ‘ঝাড়গ্রামে ঝাড় খেয়েছে বিজেপি, ৪-০ হবে’, বিনপুরের সভায় চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]

বাচ্চু হাঁসদা, দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী এবার টিকিট পাননি। তৃণমূলের (TMC) টিকিটে গত ২০১১ এবং ২০১৬ সালে তপন (Tapan) বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বাচ্চু হাঁসদা। তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি। তাই বিক্ষুব্ধ বাচ্চু বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই পদ্মশিবিরের প্রতি তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে। ফিরে আসতে চান শাসকদলে। তবে এঁদের সকলের রাজনীতির পথ এখন বাঁক নিয়েছে অন্যদিকে। সে পথে ফিরে আসা সম্ভব কি না, তা জানে স্রেফ দলই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার