নব্যেন্দু হাজরা: রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল! পঞ্চায়েত স্তরে নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধির রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইল দপ্তর। জানা গিয়েছে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সব স্তরের জনপ্রতিনিধিরা কোন দলের সঙ্গে যুক্ত সেটা জানতে চাইছে রাজ্য। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যদের পারফরম্যান্স কেমন সেটাও খবর নিতে চায় নবান্ন।
পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে জেলা প্রশাসনগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোন পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে (District Administration) কোন দলের কেমন শক্তি এবং কোন জনপ্রতিনিধি কেমন পারফর্ম করছেন, সব তথ্য বিস্তারিতভাবে সংগ্রহ করতে হবে। যদিও দপ্তর সূত্রের খবর এর সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও যোগাযোগ নেই। পঞ্চায়েত স্তরে প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা বা তাঁদের পারফরম্যান্স বিচার করে একেবারেই রুটিন প্রক্রিয়া।
[আরও পড়ুন: হাতে দাঁড়িপাল্লায় চাল-ডাল মাপছেন দোকানি? অভিযোগ পেলেই বাতিল হবে লাইসেন্স]
সচরাচর নির্বাচনের (Panchayat Election) পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হলেই সব সদস্যদের তথ্য নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও অনেক সময় দেখা যায় দলবদল করছেন সদস্যরা। আবার অনেক সময় নির্দল সদস্যরাও কোনও দলে যোগ দেন। ফলে পঞ্চায়েতের সমীকরণ বদলে যায়। সেকারণে প্রশাসন মাঝেমাঝেই এই ধরনের তথ্য নিয়ে থাকে। যাতে পঞ্চায়েতের স্থায়িত্ব বজায় থাকে। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রের দাবি, প্রশাসন চাইলে এই ধরনের তথ্য নিতেই পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও যোগ নেই।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁর কথায় কালো টাকা সাদা করেছি’, সায়গলের পর মণীশের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন অনুব্রত]
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে (Panchayat) কোথায় কতগুলি আসন শাসক দলের হাতে রয়েছে, কোনগুলি বিরোধীদের হাতে আছে, তা এক ঝলকে বোঝার চেষ্টা করছে শাসকদল। কোন দলের পঞ্চায়েতে কেমন কাজ হচ্ছে, আরও কী করা প্রয়োজন, সেটাও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, সাম্প্রতিককালে পঞ্চায়েত স্তরের নির্বাচিত কোনও সদস্য দলত্যাগ করেছেন কিনা, সেটাও বোঝা যাবে এই সমীক্ষায়।