রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) বিদ্রোহের ধাক্কার প্রভাব ‘কমল পুষ্পে’! দলের জন্মলগ্ন থেকে পুরনো কর্মীদের প্রেরণাদায়ক লড়াইয়ের কথা বর্তমান কর্মীদের জানা জরুরি। তাই খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নমো অ্যাপে ‘কমল পুষ্প’ একটি বিভাগে তাদের অবদান তুলে আনতে বলেছেন। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি বাংলায় তাদের পুরনো কর্মীদের অবদান-সহ নামের তালিকা কমল পুষ্প অ্যাপে তুলতেই পারেনি। কেন বিলম্ব তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতাদের ফোনও এসেছে। আসলে দলের অভ্যন্তরে চলা ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামাল দিতে জেরবার রাজ্য বিজেপিতে এখনও ব্রাত্য হয়ে পড়ে রয়েছে দলের পুরনো কর্মীদের আদর্শ ও প্রেরণার কথা।
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়, জনসংঘ থেকে বিজেপির কয়েক প্রজন্মের নিঃস্বার্থ সেবা, মানুষকে সংগঠিত করা ও আদর্শের প্রচারের জন্য দেশজুড়ে বিজেপি জনগণের সমর্থন অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “বিজেপি এমন একটা রাজনৈতিক দল যা দেশের শিকড়ের সঙ্গে জড়িত। কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয় বিজেপির ইতিহাসটা কী।”
[আরও পড়ুন: কালো তালিকাভুক্ত হয়েও ৪ বছর ধরে চলছে ধর্মতলার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
বিজেপিতে যাঁরা নতুন আসছেন তাঁদের অনেকেই দলের ইতিহাস জানে না। দলের আদর্শ-ভাবধারায় তাঁরা উদ্বুদ্ধ নয়। দলের নয়া প্রজন্মকে জানতে হবে দলের পুরনো নেতাদের আদর্শ, দলের প্রতি আনুগত্যের কথা। এটা দলের নব্যদের জানা দরকার বলে জানালেন রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতা। তাঁর কথায়, এর অভাব থাকাতেই দলের প্রতি আনুগত্যের অভাব রয়েছে নব্যদের একটা বড় অংশের।
দলের পুরনো কার্যকর্তাদের লড়াইয়ের কথা দলের বর্তমান সদস্যদের প্রেরণা জোগাবে। এছাড়া, সারা দেশে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সারা জীবন উৎসর্গ করা কার্যকর্তাদের সম্মান জানানো হবে। সেজন্যই নমো অ্যাপে ‘কমল পুষ্প’ বিভাগে জনসংঘের আমল থেকে বিজেপি করে আসা পুরনো কর্মীদের তালিকা থাকবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সেই তালিকা তৈরি করে ফেলার কথা ছিল। ৪০০ জনের মতো পুরনো কর্মীদের সন্ধান মেলে। জন সংঘের আমল থেকে যাঁরা বিজেপি করছেন। দলে তাঁদের অবদানের কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলায় ৯৫ জনের নাম-ঠিকানা জোগাড় হলেও ‘কমল পুষ্প’ অ্যাপে তা দেওয়া হয়নি।
রাজ্য বিজেপির এক নেতার কটাক্ষ, বর্তমান বঙ্গ বিজেপি তো পুরনো নেতা-কর্মীদের ভুলে যাচ্ছে। দলের রাজ্য-জেলা কমিটিতে ব্রাত্য পুরনো কর্মীরা। দলের কতৃত্ব চলে যাচ্ছে তৎকাল বিজেপির হাতে। তাই এই কমল পুষ্প কর্মসূচিতেও বোধহয় অনীহা দেখা যাচ্ছে। দলীয় সূত্রে খবর, কেন ‘কমল পুষ্পে’র তালিকা তৈরিতে বিলম্ব, তা জানতে চেয়ে রাজ্য বিজেপির কাছে ফোন এসেছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। রাজ্য শাখার তরফে বলা হয়েছে খুব শীঘ্রই তালিকা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।