সুব্রত বিশ্বাস: দেশের লাইফ লাইনের উন্নয়নকে ধরে রাজনীতির চেষ্টা করছে বিজেপির। শাসকদল সর্বদা এই অভিযোগ করলেও এবার তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন রেল কর্তারাই। রবিবার প্রধানমন্ত্রী জামসেদপুর থেকে একগুচ্ছ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন। হাওড়া স্টেশনে এই উপলক্ষে রেলের তরফে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রের শিক্ষাদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেখানে কেন্দ্রের প্রশংসার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কার্যত কটাক্ষ করেন তিনি। ট্রেনের আনুষ্ঠানিক সূচনার অনুষ্ঠানে এসে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বে রেল উন্নয়ন প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু না বলে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখায় অখুশি রেল কর্তাদের অধিকাংশ।
রবিবার রেলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যের সংযোগকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনায় দ্রুততা বাড়ার পাশাপাশি শিল্পের বিকাশের সম্ভবনা রয়েছে। প্রশ্ন তুলে দেন রাজ্যের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকার এনিয়ে কতটা সদার্থক ভূমিকা নেবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। টালা থানার ওসি গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'টালির বাড়ির' দিকে গ্রেপ্তারি যাবে কি না, সেটাই এখন দেখার। সিপির অপসারণ না হওয়া নিয়েও সুকান্ত মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি ডাক্তারদের আন্দোলনের বিষয়ে বলেন, "আমরা আন্দোলনের মধ্যে নেই। বাইরে থেকে সমর্থন করছি।"
প্রধানমন্ত্রীর ট্রেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর্তাদের পাশে রেখে এধরনের রাজনৈতিক আলোচনাকে ভালো চোখে দেখেননি রেল আধিকারিকরা। সরকারি কর্মসূচিতে রাজনীতির প্রবেশ ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন অনেকেই। এদিন রাজ্যপাল বাইরে থাকার কারণে তিনি আসেননি। হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানান, "সরকারি অনুষ্ঠানে যেমন আমন্ত্রণ পাঠানো হয়, তেমন ভাবে আমরা সবাইকে ডেকেছি। তবে অনেকেই আসেননি।" এদিন জামসেদপুর থেকে ছটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার মধ্যে তিনটি হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। গয়া-হাওড়া, ভাগলপুর-হাওড়া ও রাউরকেল্লা-হাওড়া। এগারোটার পরই ট্রেনগুলো পর পর রওনা দেয় হাওড়ার উদ্দেশ্যে।