রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে বুথে বুথে বাইক বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের। এটা নিয়ে দলের মধ্যে গোপন সার্কুলারও দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক শক্তিতে পেরে উঠতে না পেরে সংঘাতের পথে গিয়ে অশান্তি বাঁধানোর পরিকল্পনা করছে বঙ্গ বিজেপি? আর সেই ছক ফাঁস হয়ে গেল।
সূত্রের খবর, গোপন সার্কুলারে বুথে কমপক্ষে ৫০জনের একটি বাইক বাহিনী তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, অধিকাংশ বুথে কমিটি হয়নি। নিচুতলায় সংগঠনের অবস্থা নড়বড়ে। এই দুর্বল সংগঠন নিয়ে শাসকদলের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই কি পঞ্চায়েতে ভোটের সময় বাইক বাহিনী নামিয়ে পেশি শক্তির প্রদর্শন করতে চায় পদ্মশিবির? অথচ ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূল (TMC) বাইক মিছিল বের করলে তার সমালোচনায় বারে বারে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে।
[আরও পড়ুন: আটকাল না ডিভিশন বেঞ্চ, নবম-দশম শ্রেণির ৮০৫ ‘অবৈধ’ শিক্ষকের চাকরি বাতিলই]
এবার পঞ্চায়েত ভোট যাতে অবাধ করানো যায় তার জন্য সমস্তরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। তখন গেরুয়া শিবিরে এই বাইক বাহিনী তৈরির গোপন সার্কুলার রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। হিসেব বলছে, প্রতি বুথে যদি ৫০জন বাইক বাহিনী তৈরি করা হয় তাহলে প্রায় ৪০ লক্ষ বাইক লাগবে। এত বাইক আসবে কোথা থেকে? গত লোকসভা ভোটের আগে যত বাইক ভিন রাজ্যে থেকে বাংলায় আনা হয়েছিল তার কোনও হিসেবও নেই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, প্রায় ৮০ হাজার বুথের মধ্যে অর্ধেক বুথেও কমিটি তৈরি সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বুথ কমিটি তৈরির আবেদন জানানো হচ্ছে মিসড কল দিয়ে। সে কারণেই কি বাইক বাহিনী তৈরি করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা হারিয়ে বদলা নিতে ফুঁসছে পশ্চিম’, জি-২০ বৈঠকের আগেই তোপ রাশিয়ার]
কীভাবে বুথ সংগঠন করতে হবে তাই নিয়ে সম্প্রতি একগুচ্ছ সার্কুলার দিয়েছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। কিন্তু লিখিত নির্দেশে কেন বাইক বাহিনী তৈরি করার কথা বলা হল, এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির পুরনো নেতারা। আদি নেতাদের কথায়, নিচুতলায় দলীয় কোন্দল মিটিয়ে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আগে সংগঠন তৈরি করা উচিত ছিল রাজ্য নেতাদের। সংগঠন মজবুত নেই, দলের নেতা-কর্মীরা সঙ্ঘবদ্ধ ও সক্রিয় নেই। তখন এই বাইক বাহিনী নামালে উলটে দলের বিরুদ্ধেই তা যাবে।