সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্যে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কিলোমিটারের বেশি গ্রামীণ রাস্তার কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই প্রকল্পের অধীনে একদিকে যেমন নতুন রাস্তা তৈরি হবে। তেমনই পুরনো, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতও করানো হবে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাস্তাশ্রী’।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে শুধু নতুন রাস্তা তৈরি নয়। পুরনো রাস্তা মেরামতও করা হবে। গ্রামীণ রাস্তার এই প্রকল্পের নাম রাস্তাশ্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে গ্রামীণ রাস্তা তৈরির এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের মাস্টারস্ট্রোক হতে পারে।
[আরও পড়ুন: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের পর এবার ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’, বাজেটে বেকারদের জন্য বিরাট ঘোষণা চন্দ্রিমার]
সরকারি সূত্রের খবর, বাজেটে (West Bengal Budget 2023) ঘোষণা করার আগেই এই প্রকল্পের কাজ শুরুর প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে সব জেলাশাসক, এডিএম, জেলাপরিষদ এবং বিডিওদের নিয়ে বৈঠক সেরে ফেলেছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী। মুখ্যসচিব (Chief Secretory) জানিয়েছেন, রাস্তা তৈরির এই টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে, যাতে টেন্ডার নিয়ে পরে কোনও প্রশ্ন না ওঠে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলার সময় কারও দ্বারা প্রভাবিত হওয়া যাবে না। একইসঙ্গে রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে উপকরণের গুণমানের দিকেও কড়া নজর রাখতে হবে। কারণ বারবার অভিযোগ ওঠে, রাস্তা তৈরির কিছুদিনের মধ্যেই তা ভেঙে যায়। ফের তা তৈরি করতে হয়। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও (Mamata Banerjee)। একই রাস্তা বারবার তৈরি করতে গিয়ে খরচ বাড়ে রাজ্যের। তাই এবার প্রশাসনের তরফে রাস্তা তৈরির উপকরণের গুণমানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় ষাটোর্ধ্ব মহিলারাও, মাসে পাবেন ১ হাজার টাকা, রাজ্য বাজেটে বড় ঘোষণা]
একই সঙ্গে রাস্তার কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য প্রতিটি ব্লকে একজন করে আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। রাস্তা তৈরির মাল মশলা উন্নত মানের কি না তা খতিয়ে দেখবেন ওই আধিকারিকরা। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সেটার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।