সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভবানীপুর থেকে ভারতবর্ষ দেখার ডাক দিয়েছিলেন আগেই। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে নতুন করে শোনা গেল ‘খেলা হবে’ (Khela Habe)স্লোগান। ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে শেষ প্রচারে মমতার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বক্তব্য, ”ভবানীপুর থেকে নতুন করে খেলা শুরু। সেই খেলা শেষ হবে ভারতবর্ষে। জাতীয় স্তরে আমরা লড়ব, জিতব। ‘জয় বাংলা’র খেলায় আমরা আগেই জিতেছি। এবার দেশের মাটিতেও জিতব।” রবিবার সন্ধেবেলা নিজের পাড়ার মোড়ে সভা করেই প্রচারে ইতি টানলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা ভবানীপুরের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আগামী ৩০ তারিখ, বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে (Bhabanipur)উপনির্বাচন। নিজের চেনা এই কেন্দ্রে শাসকদলের হয়ে লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিসেবমতো, সোমবার প্রচারের শেষদিন। কিন্তু ওইদিন রাজ্যে দুর্যোগের আশঙ্কা। অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে তৈরি হওয়া শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ (Cyclone Gulab) দাপট দেখাতে পারে এ রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায়। তার জন্য আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সাবধানী মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। তিনি নিজে জনগণকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন। কলকাতায় যাতে পরিস্থিতি বিপজ্জনক না হয়ে ওঠে, তার জন্য সিইএসসি ও কলকাতা পুরসভা আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ডান্সিং ড্রাগন, মৃতদেহের উপর উঠে নাচে’, অসমের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ মমতার]
এই পরিস্থিতিতে রবিবারই প্রচারে ইতি টেনে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ্মপুকুরে যদুবাবুর বাজারে তাঁর সঙ্গে যৌথ প্রচারে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)। বিকেলে সেই সভা সেরে সন্ধে নাগাদ মমতা-অভিষেক পৌঁছে যান কালীঘাট মোড় অর্থাৎ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট মোড়ে। এটাই তাঁর পাড়া। অন্যান্যবার এই মোড়ের সভা করেই নির্বাচনী প্রচার শেষ করেন মমতা। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এই সভাতেও তাঁর সঙ্গী ছিলেন অভিষেক। আর এখান থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা, ভবানীপুর থেকে নতুন করে ‘খেলা’ শুরু হবে। এই খেলা শেষ হবে জাতীয় স্তরে লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে। অর্থাৎ লক্ষ্য যে দিল্লি দখল করা, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন। বিজেপি (BJP) বিরোধী একাধিক অস্ত্রে শান দিয়ে জনতার প্রতি তাঁর বার্তা, ”মাথা ঠান্ডা রাখুন। ৩০ তারিখ সময়মতো ভোটটা দিন। ১ নং বোতাম টিপে তৃণমূলকে জেতান।” ভবানীপুরের উন্নয়নে কী কী কাজ হয়েছে, তারও খতিয়ান দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: BJP রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর প্রথমবার দিল্লি যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার, শাহ-নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ]
এদিন শেষ প্রচারে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর দক্ষিণের তারকা বিধায়ক লাভলী মৈত্র, সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। তাঁদের সকলকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী। লাভলীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। এরপর সকলের কাছ থেকে আশীর্বাদ চেয়ে সভা শেষ করেন। মমতার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে উঠে বিজেপির বিরুদ্ধে আরও একবার লড়াইয়ের ডাক দিলেন।