শুভঙ্কর বসু: ভবানীপুরে (Bhabanipur) অবাধ এবং সুষ্ঠু উপনির্বাচন নিশ্চিত করতে বাড়তি সচেতনতা নির্বাচন কমিশনের। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ওয়েব-কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অর্থাৎ, সমস্ত বুথে কীভাবে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন, কত শতাংশ ভোট হচ্ছে, সবটাই দিল্লিতে বসে নজরদারি করতে পারবেন কমিশন (Election Commission) কর্তারা। শুধু তাই নয়, কমিশন সূত্রের খবর ভবানীপুরের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে আজ থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হবে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। তাঁর বিরুদ্ধে লড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বিস্তর বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল দুই পক্ষই। এবার ভবানীপুরের উপনির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই, এই হেভিওয়েট কেন্দ্রে নজর রয়েছে গোটা দেশের। সম্ভবত সেকারণেই ভবানীপুরের ভোটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইছে কমিশন। সূত্রের খবর, আজ থেকেই ভবানীপুরের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের ২০০ মিটার এলাকা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সব কেন্দ্রে করা হবে ওয়েব কাস্টিং। সমস্ত বুথে ভোটার এবং ভোটকর্মীদের গতিবিধি সরাসরি দিল্লির আধিকারিকরা পর্যবেক্ষণ করবেন। একই সঙ্গে সব কার্যকলাপ দেখা যাবে নির্বাচন কমিশনের রাজ্য দপ্তর থেকেও।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: পুজোর পর ফের ভোট, রাজ্যের বাকি ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের]
ভবানীপুর-সহ রাজ্যের তিন কেন্দ্রে ভোটের সময় দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। দুর্যোগে কোনও ভোটারকে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবারই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব আবহাওয়া দপ্তর, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কোনও ভোটার যদি আটকে থাকেন, বা কেউ যদি কমিশনের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সাহায্য চান, তাহলে তিনি যাতে সহজেই ভোটকেন্দ্র পৌঁছাতে পারেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে (NDRF) সেটা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেছেন আরিজ আফতাব।
[আরও পড়ুন: WB By-Elections: ভোটের দিন ঘোষণা হতেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নামে খড়দহে প্রচার শুরু তৃণমূলের]
এদিকে, আজই রাজ্যের বাকি চার আসনে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে দিল্লি নির্বাচন কমিশন। ভোট ঘোষণার পরই চার জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন কমিশনের কর্তারা। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গোটা ভোটপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে কোভিড বিধি মেনে। প্রচারে প্রার্থীরা কোভিড (Coronavirus) বিধি মানছেন কিনা, তা নিয়মিত মনিটারিং করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিদিনের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির রেকর্ডও কমিশনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।