রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘গড়’ ভবানীপুরে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই মোটেও সহজ নয়। তবে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal)। প্রিয়াঙ্কার কথায়, “এই লড়াই শুধু বিধায়ক হওয়ার নয়, বরং গণতন্দ্র বাঁচানোর”। দল প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করায় খুশি তথাগত রায়-সহ তাবড় তাবড় নেতারা। তবে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা ও তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করতেই টুইটে মোদি-শাহকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
শুক্রবার দুপুরে ভবানীপুরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে প্রিয়াঙ্কার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “দলের হয়ে বহু লড়াই করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তাছাড়া আমরা চেয়েছিলাম মহিলাকে প্রার্থী করা হোক। কেন্দ্রে নাম পাঠানো হয়েছিল। তাতে সিলমোহর পড়েছে। আমরা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে আছি।” প্রিয়াঙ্কা বলেন, “লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।”
[আরও পড়ুন: WB By Election: কোভিড বিধি মেনেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন মমতা]
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বারবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, ভুল মানুষদের বেছে নেওয়ার কারণেই নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল দলের। ভবানীপুরের উপ নির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচন নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাবিধ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তবে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল প্রার্থী হওয়ায় খুশি তথাগত রায়ও। তাঁকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেললেও প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল প্রার্থী হওয়ার পরই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। সেখানেই তুলে ধরেছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের বিষয়টি। কারণ ২০১৪ সালে প্রিয়াঙ্কা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হলেও তার নেপথ্যে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রথম দিকে মূলত সাংসদের আইনজীবী হিসেবেই কাজ করতেন তিনি। পরবর্তীতে দলের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হয় তাঁর। অর্থাৎ সবমিলিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থীকে করায় খুশি সকলেই।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত নিয়মিত বাংলায় এসেছেন মোদি-শাহ। যার জেরে তীব্র আক্রমণের সম্মুখীনও হতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু উপ নির্বাচনের তারকা প্রচারকদের তালিকায় নাম নেই তাঁদের। অর্থাৎ, এই নির্বাচনের প্রচারে আসছেন না তাঁরা। এই নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। টুইটে তিনি লিখেছেন, “মোদিজি, শাহজি, নাড্ডাজির মত ডেইলি প্যাসেঞ্জাররা কই?”