সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনে (West Bengal By-Elections) বাম-কংগ্রেস জোট না হলেও তিন আসনে বামেদের সমর্থন করবে কংগ্রেস। শুধু শান্তিপুরে প্রার্থী দেবে হাত শিবির। বুধবার জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Rajan Chowdhury)।
আসলে, আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের যে চার আসনে ভোট হওয়ার কথা, তার মধ্যে শুধু শান্তিপুরেই সামান্য সংগঠন অবশিষ্ট আছে হাত শিবিরের। শান্তিপুর ছাড়া বাকি তিন কেন্দ্রে তেমন গ্রহণযোগ্য প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না কংগ্রেস (Congress)। সংগঠন নামমাত্র। তাই গোসাবা, খড়দহ ও দিনহাটায় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাত শিবির। গতকাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের সকল রাজ্য নেতা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে এক ভারচুয়াল বৈঠক করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় শান্তিপুর ছাড়া বাকি তিন আসনে যেহেতু গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জোটের শরিক হিসেবে বামেদের ছাড়া হয়েছিল, এবারও তেমনই ছাড়া হবে। তবে, শান্তিপুরে কংগ্রেস লড়াই করবে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি বিরোধিতায় ব্যর্থ কংগ্রেস’, বিকল্প মঞ্চকে শক্তিশালী করার ডাক মমতার কলমে]
যার অর্থ এবারে বিধানসভার উপনির্বাচনে শান্তিপুরে চতুর্মুখী লড়াই হবে। কারণ, ইতিমধ্যেই ওই আসনে বামেরা প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। কংগ্রেস বাকি তিন আসন বামেদের সমর্থন করলেও বামফ্রন্ট শান্তিপুর থেকে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। যদিও, ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোট হওয়ার পর থেকেই এই আসনটিতে কংগ্রেস লড়ে আসছে। এতেই স্পষ্ট যে, বামেরা না চাইলেও জোট বজায় রাখতে চাইছে কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: ফের বাম-কংগ্রেস সমঝোতার জল্পনা! উপনির্বাচনে জোট নিয়ে কথা বিমান-অধীরের]
আসলে, প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ইচ্ছা ছিল বিধানসভার মতো উপনির্বাচনেও পুরোদমেই জোট হোক। কিন্তু গত দুই নির্বাচনে জোট করে তেমন সাফল্য না আসায় জোট করে লড়তে রাজি হয়নি সিপিএম (CPIM)। তারা আগেভাগেই একতরফা চার আসনে প্রার্থী করে দেয়। তারপরও জোট ধরে রাখার চেষ্টা করেন অধীর। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে (Biman Bose) তিনি জানান, তিন আসনে কংগ্রেস বামেদের সমর্থন করবে। পরিবর্তে শান্তিপুর থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করুক বামেরা। কিন্তু বিমানবাবু তাতে রাজি হননি বলেই সূত্রের দাবি। তা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত শুধু শান্তিপুরে লড়াই করে বাকি তিন আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল হাত শিবির।