রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ভবানীপুরের (Bhabanipur) রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিল নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে নির্বাচনী দায়িত্ব বন্টন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। তবে সূত্রের খবর, ভবানীপুর নির্বাচনী কমিটিতে এলাকার অনেক পুরনো ও অভিজ্ঞ নেতৃত্বকে রাখা হয়নি। এমনই অভিযোগ তুলেছে দলের একাংশ। ওই অংশের বক্তব্য, অন্য জেলার নেতাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভবানীপুরের। তারা ভবানীপুরের সঙ্গে পরিচিতই নয়। যেখানে দক্ষিণ কলকাতার ভূমিপুত্র একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে ভোটে দায়িত্ব দিয়েছে শাসকদল।
ভবানীপুরের আটটি ওয়ার্ডে বিজেপির তরফে যে আটজন বিধায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা হলেন বঙ্কিম ঘোষ, অশোক দিন্দা, শঙ্কর ঘোষ, সুশান্ত ঘোষ, বিমান ঘোষ, মালতী রাভা রায়, লক্ষ্মন ঘোড়ুই ও পবন সিং। দলের দক্ষিণ কলকাতা জেলার নেতাদের একাংশের কথায়, কেন এলাকার পরিচিত মুখ এরকম নেতাদের সামনে আনা হবে না। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের যুক্তি, “কর্মীদের মনোবল বাড়াতে বিধায়ক-সাংসদদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব তৃণমূল মন্ত্রীরা কি ভবানীপুরের সমস্ত কিছু চেনেন। পার্টির একটা স্ট্র্যাটেজি থাকে। তাছাড়া, নির্বাচন কমিটিতে সকলে থাকেন না। বুথ-মন্ডলস্তরের নেতা-কর্মীরাই কাজ করেন।”
[আরও পড়ুন: Bhabanipur Bypolls: আট ওয়ার্ডে ৪৮ সভা তৃণমূলের, সকালে প্রচারে ৫ নেতা, বিকেলে মহিলারা]
এদিনের বৈঠকেও অবশ্য প্রার্থী থেকে শুরু করে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও ভবানীপুরের সমস্ত নেতা—কর্মীদের কাছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট যুদ্ধে নামার আরজি জানিয়েছেন। দলের একাংশ মনে করছে, ভবানীপুর ভোটে দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে কিছু পুরনো নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সামান্য হলেও চিন্তায় রাখছে রাজ্য বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতাদের। তাই সকলকে ভোটের ময়দানে নামার বার্তা বারবার দিয়ে চলেছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
ওয়ার্ডভিত্তিক সভার থেকে ‘ম্যান টু ম্যান কনট্যাক্ট’-এ বেশি জোর। এভাবেই ওয়ার্ডভিত্তিক তৈরি হচ্ছে বিজেপির স্ট্র্যাটেজি। ভবানীপুর উপনির্বাচন (WB By-Election) নিয়ে শনিবার হেস্টিংসে দলের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভোট কৌশল ঠিক করতে দীর্ঘ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া উত্তর কলকাতার সজল ঘোষকে ইলেকশন এজেন্ট করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “বিধায়করা পাড়ায় পাড়ায় যাবেন। আমরা ম্যান টু ম্যান কন্ট্যাক্ট করতে চেষ্টা করছি।”
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: এবার ‘দুয়ারে কেনাকাটা’, ভিড় এড়িয়ে চটজলদি সেরে ফেলুন পুজোর শপিং, কোথায় মিলছে এমন সুযোগ?]
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে দু’টি ওয়ার্ডে এগিয়েছিল বিজেপি। ছয়টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের লিড ছিল। তাই প্রতিটা ওয়ার্ডে এবার একজন করে বিধায়ক দায়িত্বে থেকে জনসংযোগের কাজ দেখবেন। সামলাবেন প্রচার কৌশল। ভবানীপুর নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং শনিবার বলেন, “যে ওয়ার্ডে কম ভোট পেয়েছিল পার্টি। সেখানে রণনীতি ঠিক করা হচ্ছে। প্রতিটা বাড়ি ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগে বেশি নজর। পাশাপাশি আগের যে ভুল-ত্রুটি সেটা শুধরে নিতে হবে।”