স্টাফ রিপোর্টার: কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসেই আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। যা বাংলার ইতিহাসে নজিরবিহীন। এর আগে রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়নি। উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের পরামর্শে আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জেলার হাজারের কাছাকাছি পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ আজ, মহালয়ার একদিন আগে থেকেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাচ্ছে রাজ্যে। মহালয়ার দিন নজরুল মঞ্চে দলের মুখপত্র জাগো বাংলা-র উৎসব সংখ্যা ও মুখ্যমন্ত্রীর পুজোর গানের সিডির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ। এরপর কলকাতার পুজোর উদ্বোধন করবেন মমতা। এদিকে, কলকাতায় ইতিমধ্যেই পুজো পরিক্রমা শুরু করেছেন ইউনেসকোর প্রতিনিধিদল। বারোয়ারি থেকে বাড়ির পুজো, সব মিলিয়ে ২৬টি পুজো পরিক্রমা করে দলটি।
এখনও কোনও পুজোর উদ্বোধন হয়নি। প্রায় সব মণ্ডপই অসম্পূর্ণ। তার মধ্যেই বিদেশিদের এই পুজো পরিক্রমা। এবার ১২টি দেশের প্রতিনিধি এসেছেন কলকাতার পুজো দেখতে। এদিন থেকেই তাঁরা বেরিয়ে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। ইউনেস্কো, ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এই পরিক্রমা চলছে। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই পরিক্রমা। তালিকায় রয়েছে শহরের নামকরা ২৬টি পুজো। যার মধ্যে ২২টি বারোয়ারি থিম পুজো, দুটি সাবেকিয়ানার পুজো এবং দুটি বনেদি বাড়ির পুজো রয়েছে।
এদিনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রদূত। ঐতিহ্যবাহী টাউন হলে পুজো সংক্রান্ত একটি প্রদর্শনী দেখে টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপ থেকেই পুজো পরিক্রমা শুরু করেন বিদেশি অভ্যাগতরা। টালা প্রত্যয়ের উদ্যোক্তা শুভ বসু তাঁদের কাছে ব্যাখ্যা করেন থিম পুজোর মাহাত্ম্য। জার্মানি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, গ্রিস, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, ফিজি, মঙ্গোলিয়ার মতো দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন টিমে। আসলে দুর্গোপুজো তো শুধু পুজো নয়, শিল্পের মেলবন্ধন। মৃৎশিল্প, আলো, আবহ, মণ্ডপ শিল্প, চারুশিল্প, কারুশিল্প, হস্তশিল্প– সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় দশভুজার আঙিনায়। হাজারো সামাজিক বার্তা নিয়ে সেজে ওঠে বারোয়ারি থিম মণ্ডপ। ধর্ম, বর্ণ, জাতিভেদ ভুলে সবাই মেতে ওঠে উৎসবে। এই অভিনব উদযাপনকে চাক্ষুস করতেই শহরে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। তার জন্যই আবার একবার পুজোর আবহে কলকাতামুখী হওয়ার উদ্যোগ।
আগেই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি আদায় করেছে কলকাতার দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত রেড রোড কার্নিভাল তাতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। ফলে, বাঙালির এই শারদ উৎসব নিয়ে ক্রমশই আগ্রহ বেড়েছে বিশ্বের।