সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তৃতীয় নোটিস পাঠাল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। এর আগেও দু’টি নোটিস পাঠানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। সূত্রের খবর, আগের দু’টি নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। সে কারণে তৃতীয় নোটিস বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, ‘‘আমরা দ্বিতীয় যে চিঠি পাঠিয়েছিলাম, তার জবাবে সন্তুষ্ট নই। তাই আবার চিঠি পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল ওরা রেকর্ড ঠিকমতো বজায় রেখেছে। কিন্তু তেমন কোনও প্রমাণ আমরা পাইনি। হস্টেলের আবাসিকদের সংখ্যা এবং র্যাগিং বিরোধী কোনও তথ্য ঠিকমতো দেওয়া হয়নি। উলটে প্রশ্ন করা হয়েছে, আমরা কীভাবে এর মধ্যে ঢুকতে পারি। মৃত পড়ুয়ার এখনও ১৮ বছর হয়নি। তাই ওই পড়ুয়া শিশু সুরক্ষা কমিশনের আওতাভুক্ত। আমি আশ্চর্য যে, শিশু সুরক্ষা কমিশন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একেবারেই সচেতন নয়।’’ তৃতীয় নোটিস এখনও তিনি দেখেননি বলেই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর ছাত্রমৃত্যু: ‘বাছাই করে দল বেঁধে ছাত্রটিকে মেরে ফেলা হয়েছে’, দাবি সরকারি আইনজীবীর]
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়। ব়্যাগিংয়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। নাবালক হওয়ায় রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নেমেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনও। ইতিমধ্যেই নদিয়ার বগুলায় নিহতের বাড়িতেও যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন।