অর্ণব দাস ও অংশুপ্রতিম পাল: প্রত্যাশা মতোই ১০৮ পুরভোটে (WB Civic Polls) তৃণমূলের জয়জয়কার। জায়গায় জায়গায় উড়ছে সবুজ আবির। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জয় পেলেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য (Sritama Bhattacharjee)। কামারহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই জয় পান ছোটপর্দার ঝিলিক। অন্যদিকে, খড়গপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেলেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন শ্রীতমা। সেবার শুধু ঘাসফুল শিবিরের হয়ে প্রচার করেছিলেন। কিন্তু ভোটে লড়েননি। এবার কামারহাটির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েই জয় পেলেন। নিজের এই জয়ের কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকে দিয়েছেন শ্রীতমা। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। আগাগোড়া শ্রীতমার পাশে থেকেছেন। শ্রীতমার হয়ে প্রচার করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ‘অনেক আগে থেকে জানা সত্ত্বেও পড়ুয়াদের কেন ফেরানো হল না?’, ইউক্রেন ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ মমতার]
প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জয়! আপ্লুত শ্রীতমা। সবার প্রথমে কোন কাজটা করতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান, তাঁর এলাকায় জমা জলের সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা তিনি সবার আগে মেটাতে চান। এই জয়ের কৃতিত্ব নিজের বাবাকেও দিয়েছেন শ্রীতমা। তিনি মাথার উপর না থাকলে এত কিছু হত না বলেই জানান শ্রীতমা। অভিনেত্রী হিসেবে যেভাবে মানুষের মন জয় করেছেন, কাউন্সিলর হিসেবেও সেভাবে মানুষের জন্য কাজ করে মন জয় করতে চান অভিনেত্রী।
সারা রাজ্যে যখন সবুজ ঝড়, তখন খড়গপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেলেন হিরণ। এই জয়কে মানুষের জয় হিসেবেই দেখছেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)। মানুষ আছে বলে দল আছে। মানুষ ছাড়া দল হয় না। তাই মানুষের সিদ্ধান্তই সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি।