শুভঙ্কর বসু: অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (WB Civic Polls 2022) সংগঠিত করার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। তাই তারাই পরিস্থিতি যাচাই করে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। বিধাননগর পুর নিগমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে দায়ের হওয়া মামলার নির্দেশে বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। এই নির্দেশের কিছু ঘণ্টা পরই মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজির সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সূত্রের খবর, বিধাননগরের পরিস্থিতি নিয়ে পূঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সবদিক বিবেচনা করে রাজ্য পুলিশ (State Police) দিয়েই বিধাননগরে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয়পক্ষ। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। প্রয়োজনে বাহিনী আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি অফিসার পদমর্যাদার আধিকারিকদের বেশি করে নিযুক্ত করা হবে।
এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, গত নির্বাচনে বিধাননগরে যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তা মাথায় রেখে পরিস্থিতি যাচাই করতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। বৈঠকে থাকবেন মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজি। আদালতের আরও নির্দেশ, পরিস্থিতি যাচাই করে যদি দেখা যায় বিধাননগরে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সংগঠিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন সেক্ষেত্রে তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে প্রয়োজনীয়তার কথা জানাবেন। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে এও বলেছে, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন না থাকে সেক্ষেত্রে ভোটে হিংসার ঘটনা ঘটলে ব্যক্তিগতভাবে দায় নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে।
[আরও পড়ুন: মানিকতলায় যুবক খুনে পুলিশের জালে ‘বন্ধু’, ধরা পড়ল বিহার-নেপাল সীমান্তে]
উচ্চ আদালতের রায় প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “রাজ্য পুলিস দিয়ে ভোট হোক বা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক তৃণমূল কংগ্রেসের কিচ্ছু এসে যায় না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জুজুতে তৃণমূল ভয় পায় না। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তো বিধানসভায় ভোট হয়েছিল তো। তাতে ঘোড়ার ডিম হয়েছে কী? ওরা রাষ্ট্রসংঘের বাহিনী আনুক। তাতেও তৃণমূল ভয় পায় না। তৃণমূলের নীতি হল, রাজ্যের পুরভোট রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের। এই জায়গায় নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ওরা কেন্দ্রীয় বাহিনি বলছে।” তবে আদালতের নির্দেশের পরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে অনড় রয়েছে রাজ্য বিজেপি।