শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: পুরভোটের আগে কার্যত হুমকি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর দাবি, ভোট করানোর জন্য প্রয়োজনে কাঁচা বাঁশ তৈরি রয়েছে। বিজেপি নেতার মন্তব্য নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেই দাবি তৃণমূলের।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পুরসভার বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে বেরোন দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালে ১০টি ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে চা চক্রে বসেন তিনি। চায়ের আড্ডায় প্রার্থীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। ক্ষীরপাই পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ঘুরে প্রচার সারেন দিলীপ ঘোষ। আর সেই সময়েই হুমকি দিয়ে বসেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা জানি আমাদের নিজের জোরে ভোট করতে হবে। তার প্রস্তুতি চলছে। কাঁচা বাঁশ কেটে রেখেছে আমাদের লোকেরা। দরকার হলে সেটা ব্যবহার করব।”
[আরও পড়ুন: Anis Khan: ‘আনিস কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছে পুলিশের ২ জন’, নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
দিলীপ ঘোষের হুমকি নিয়েই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতিকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, “মেয়াদ শেষের আগেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। আদি বিজেপির বড় অংশকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ক্ষোভ জমেছে বিজেপি নেতাদের মনে। ওনাদের লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে নয়। নিজেদের দলের নব্য নেতাদের বিরুদ্ধে। তাই যত লাঠি, বাঁশ, গালমন্দ যা যা তৈরি রেখেছেন তাঁরা, তা তাদের দলের নেতাদের জন্যই। আমাদের জন্য না।”
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার উলুবেড়িয়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বীরভূমে পুরভোট। পুরভোট আদৌ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও জট কাটেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্বপক্ষেই আরও একবার সওয়াল করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। বাহিনী থাকলে অনেক সাধারণ ভোটারই সাহস পায় ভোট দিতে। কারণ, পুলিশের উপর কারও ভরসা নেই।” এ প্রসঙ্গেও দিলীপকে খোঁচা কুণাল ঘোষের। তাঁর মতে, “এ দাবি হাস্যকর। কোম্পানির পর কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বিধানসভা ভোটে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে জিতবেন, নইলে জিতবেন না সেটা হতে পারে না।”