শুভঙ্কর বসু: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোট। ফলপ্রকাশ কবে হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা জারি ছিল। তবে শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে ভোটের ফলপ্রকাশের দিন ঘোষণা করা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চার পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ হবে।
কলকাতা পুরসভায় ভোটের ফলপ্রকাশের পরই বকেয়া পুরভোটগুলির দাবি আরও জোরাল হয়। কলকাতা হাই কোর্টের তরফে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোট করার কথা বলা হয় রাজ্য সরকারকে। সেই অনুযায়ী রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোটের দিন স্থির করা হয়। তবে করোনার বাড়বাড়ন্তে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে। কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেয় হাই কোর্ট। এরপরই ভোট পিছিয়ে যায়। তাই আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোটাভুটি।
[আরও পড়ুন: প্রেমের টান, সোশ্যাল মিডিয়ার ‘বন্ধু’র সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে গুজরাটে পালালেন রিষড়ার গৃহবধূ]
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে ডিজিটাল প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক পুরনিগম এলাকায় নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। করোনা টিকাকরণের ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণনার এজেন্ট, পোলিং অফিসার সকলেরই টিকার একটি ডোজ নেওয়া আবশ্যক। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, কোথাও জমায়েত হলে যাঁরা জমায়েত করছেন, তাঁদের পরিচয়ের বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে হবে। ভোটের একদিন আগে পুলিশ মোতায়েন বাধ্যতামূলক। রিগিং হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা জোর করে বন্ধ করে দেওয়া কিংবা মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে। বাইক র্যালি পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
তবে ওই চার পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ কবে হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা জারি ছিল। সূত্র থেকে পাওয়া খবর মারফত জানা গিয়েছিল সম্ভবত ১৫ ফেব্রুয়ারি চার পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ হতে পারে। তবে শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটের ফলপ্রকাশ।