স্টাফ রিপোর্টার: দুই সরকারি কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) ও ‘পাড়ায় সমাধান’ নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এই কর্মসূচি পুরভোটের আগে ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে। তাই এই দুই কর্মসূচি বন্ধ করার নির্দেশ দিক নির্বাচন কমিশন। এই মর্মে মঙ্গলবার কমিশনকে (Election Commission) চিঠি দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৭টি পুরসভার নির্বাচন। তার আগে মঙ্গলবারই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’। সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পেতে রাজ্যবাসীর সংখ্যাই বুঝিয়ে দিয়েছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে কতটা আগ্রহী তাঁরা। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রথম দিনই সাড়ে পাঁচ হাজার শিবিরে এসেছেন ১২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। এই সংখ্যা ক্রমশ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ‘আর হয়তো ডাকবে না’, ৫ ঘণ্টা সিবিআই দপ্তরে জেরার শেষে মন্তব্য দেবের]
প্রথম দিনই শিবিরে আসা মানুষজন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর পাশাপাশি আর্টিজেন, মৎস্যজীবী ও তন্তুবায়রা ক্রেডিট কার্ড নিতে আবেদন করেছেন। প্রথম দিনই শিবিরে আসা মানুষজন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর পাশাপাশি আর্টিজেন, মৎস্যজীবী ও তন্তুবায়রা ক্রেডিট কার্ড নিতে আবেদন করেছেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের আবেদনে মান্যতা, SSC গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের]
কিন্তু এই প্রকল্প নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ বামেদের (Left Front)। এদিন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে শাসকদলের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। অনেক জায়গায় আবার ওয়ার্ড অফিসে দলীয় পতাকা লাগিয়ে তাদের প্রকল্প বলে প্রচার করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার নির্বাচন চলাকালীন এই ধরনের প্রকল্প ঘোষণা করে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। এখনই এই কর্মসূচি বন্ধের নির্দেশ দিক কমিশন। নইলে নির্বাচকমণ্ডলী প্রভাবিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।