সন্দীপ চক্রবর্তী ও দিপালী সেন: মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে ফোনে দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি আশ্বাস দিলেন পরিবারের পাশে থাকার। এদিকে ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হস্টেলে বহিরাগত ও প্রাক্তনীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল যাদবপুর কর্তৃপক্ষ।
নদিয়ার মেধাবী ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ড। অনেক স্বপ্ন দু চোখে নিয়ে ভরতি হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু কয়েকদিনেই চুরমার স্বপ্ন। কিন্তু কেন মৃত্যু? মাকে ফোনে কেন স্বপ্নদীপ জানিয়েছিল যে সে চাপে আছে, তা এখনও অজানা। তবে একের পর এক উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলছে মৃত্যুর কারণ নিয়ে কাঁটাছেঁড়া। এসবের মাঝে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্বপ্নদীপের বাবাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দেন পাশে থাকার ও পর্যাপ্ত তদন্তের। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। এদিকে এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হস্টেল সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ব্যালটের পর সার্টিফিকেট, এবার বিজেপির নবনির্বাচিত মহিলা প্রধানের শংসাপত্র চিবিয়ে খেল যুবক]
নতুন এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের মেইন হস্টেল থেকে অবিলম্বে সরানো হচ্ছে নতুন বয়েজ হস্টেলে। এর পাশাপাশি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, হস্টেলে যাদবপুরের প্রাক্তনী বা বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে কেউ প্রবেশ করলে সুপারিনটেন্ডেডকে তাদের নাম জমা দিতে হবে সঙ্গে সঙ্গে। এদিকে স্বপ্ননীলের মৃত্যু নিয়ে যাদবপুরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে ইউজিসি। আজ অর্থাৎ শুক্রবার বৈঠকে বসবে অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াড। এদিকে বাংলা বিভাগের অধ্যাপকদের জরুরি তলব করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।