সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। পড়ুয়াদের সুবিধার্থে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে ৫ হাজার পড়ুয়ার হাতে ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়া হল। ব্যাংকগুলি লোন দিতে চাইছে না। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরাই গ্যারান্টার। তাহলে লোন দিতে সমস্যা কোথায়?
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (Student Credit Card) উপযোগিতার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “টাকার অভাবে অনেকেরই পড়াশোনা মাঝপথে থমকে যায়, অনেকেই পড়াশোনার প্রয়োজনে লোন নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। খুব কষ্ট করে লোন নিতে হয়। কখনও কখনও তাঁদের বাড়িও বন্ধক রাখতে হয়। তবে সরকার পড়ুয়াদের স্বার্থে খুব কম সুদে ১৫ বছরের জন্য লোন দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৫৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দশম শ্রেণি থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর পড়ার খরচ পাওয়া যাবে। কোর্স ফি, টিউশন ফি, বইপত্রের খরচ, ল্যাপটপ এই লোন থেকে পাওয়া যাবে।”
[আরও পড়ুন: বাজল যুদ্ধের দামামা, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা পুতিনের]
তবে অনেকেরই অভিযোগ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। বহু ব্যাংক ছাত্রছাত্রীদের লোন দিতে চাইছে না বলে দাবি একাংশের। সেই প্রসঙ্গে এদিন ব্যাংকগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরকার গ্যারান্টার হলে ঋণ দিতে অসুবিধা কোথায়? এভাবে অসহযোগিতা করবেন না। অসহযোগিতা করা মানে বিকাশে বাধা দেওয়া।” সব ব্যাংকগুলিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার বার্তাও দেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত শিক্ষার উন্নয়নে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার, তাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ, ৫১টি সরকারি কলেজ এবং ৭ হাজার স্কুল তৈরি হয়েছে। রাজবংশী এবং সাঁওতালি ভাষার স্কুলও তৈরি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে সাইকেল, ট্যাব। শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে। রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নেও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মু্খ্যমন্ত্রী।