ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ঠিক ছিল চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের নিউনেটাল কেয়ার ইউনিট ভারচুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আচমকা মত বদল। সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ সরাসরি হাসপাতালে হাজির হলেন তিনি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন হাসপাতালের নতুন মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব। কেন তিনি হাসপাতালে সশরীরে হাজির হলেন? তার উত্তরও উদ্বোধনের সময় স্পষ্ট করেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “এলাকার পরিচিত হাসপাতাল। আমাদের পরিবারের সবাই এবং আত্মীয়স্বজনের সবাই এই হাসপাতালে জন্মেছিলেন।” খুব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। তবে হাসপাতালের সঙ্গে যে তাঁর সম্পর্ক নিবিড় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই বক্তব্য থেকেই।
চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’ ১৫১টি শয্যা থাকবে। যার অধিকাংশই আইসিইউ বা এইডিইউ। থাকছে নিউনেটাল কেয়ার ইউনিট। মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করে বলেছেন,“রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ দেশের সেরা। বিশেষ করে অতিমারী করোনার মোকাবিলায় রাজ্যের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা যে কাজ করেছেন তা আমাদের অলঙ্কার। আমাদের অহঙ্কার।”
[আরও পড়ুন : রাজ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের বিক্ষোভে হস্তক্ষেপের আরজি, অমিত শাহকে চিঠি মুকুলের]
তাঁর কথায়, “রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় চিকিৎসা হয়। রাজ্যের সব দশ কোটি পরিবারের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যাঁরা এখনও কার্ড পাননি, তাঁদের একটা বিকল্প কার্ড দেওয়া হচ্ছে। বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য এবং বিনা পয়সায় খাদ্য এর থেকে বড় কিছু হতে পারেনা।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক, ডা প্রবীর মুখোপাধ্যায়-সহ দপ্তরের শীর্ষকর্তারা।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে হাসপাতালের নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট তৈরির জন্য কাজ শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। প্রিন্সিপ্যাল প্রবীর মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “হাসপাতালের নতুন মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের জন্য ২৮ জন শিশু ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কাজ করবেন। বিশ্বমানের শিশু ও স্ত্রী রোগ চিকিৎসা শুরু হচ্ছে এই বিভাগে।”