সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য়ের সাংবিধানিক বা শৃঙ্খলারক্ষার সংকট হলে ‘শেক্সপিয়রের হ্যামলেটে’র মতো চুপ করে থাকবেন না রাজ্যপাল। সোমবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। রাজ্যপালের এহেন মন্তব্য শুনে ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমমন্ত্রী। নবান্ন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর পালটা প্রশ্ন, “চুপচাপ বসে থাকবেন না তো কি সকলের চাকরি খাবেন?” ফের তুলে আনলেন আচার্য বিলের প্রসঙ্গও।
সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় নবান্ন-রাজভবনের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। রাজ্য়ের একাধিক ইস্যুতে কড়া অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যপাল। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যাচ্ছেন তিনি। উপাচার্যদের রাজভবনে ডেকে পাঠাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচের হিসেবও চেয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে এদিন কড়া অবস্থান নিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর কথায়,”চেয়ারটা সম্মানের। কিন্তু দপ্তর চালায় উচ্চ শিক্ষাদপ্তর। আমিও মাথা ঘামাই না। একথা আমিও বলতে পারি না, আমার কথা না শুনলে ব্যবস্থা নেব। মনে রাখতে হবে সকলের লিমিটেশন রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘উত্তর-পূর্ব জ্বলছে’, মণিপুর হিংসায় ‘কেন্দ্রের নীরবতা’কে তোপ মমতার]
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রাজ্যপালের থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরনো আইন নিয়ে মমতার প্রতিক্রিয়া,”তখন রাজ্য়ে ১২টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। তাই এই নিয়ম তৈরি হয়েছিল। এখন যদি বলেন, ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে, তাহলে উপাচার্যরা কী করবেন? পড়াশোনা করাবেন না কি এসব করবেন?” রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচের হিসেব দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিসেব দিতে হলে আমাদের দেবেন। রাজ্য সরকার এমন কিছু করে না যাতে আমাদের উপাচার্যদের সমস্যা হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্য়পালকে সরাতে বিল পাস হয়েছিল বিধানসভায়। সেই বিল স্বাক্ষরের জন্য রাজ্যপালকে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন,”ওঁকে বলব, পছন্দ না হলে ফেরত পাঠান। যাতে বিধানসভা আবার পাস করাতে পারি। অনেক বিধানসভায় এই বিল পাস হয়েছে।”