সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের অন্তর্বর্তী বাজেট যে জনমুখী হতে চলেছে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পেশ করা রাজ্য বাজেট সব প্রত্যাশাই কার্যত ছাপিয়ে গেল। বাজেট বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে চলবে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের কাজ। শুধু তাই নয়, প্রতি তিন বছর অন্তর ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড রিনিউ করা যাবে। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি বছরে দু’মাস ধরে হবে। ঘোষণা মমতার।
এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে চলবে। যাঁরা পরে এই প্রকল্পে যোগ দিতে চান তাঁরা যে কোনও সময় যোগ দিতে পারবেন। তাছাড়া প্রতি ৩ বছর অন্তর সেই কার্ড রিনিউ করা যাবে। এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।” এরপরই তিনি যোগ করেন, বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু হওয়া দুই অভূতপূর্ব প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’ এবং ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি আগামিদিনেও চালু থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, প্রতি বছর দু’বার দু’মাস ধরে এই দুটি কর্মসূচি হবে। প্রথমটি হবে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এবং দ্বিতীয়টি আয়োজিত হবে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে।
[আরও পড়ুন: জুনের পরেও মিলবে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী, অন্তর্বর্তী বাজেটে বড়সড় চমক মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে রাজ্য সরকারের এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাইনে দাঁড়িয়ে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়েছেন। যা প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়েছে। আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বহু মানুষের এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার খবরও প্রকাশ্যে আসছে। যা সাধারণ মানুষের মনে সরকারের প্রতি আস্থা বাড়াবে। অন্যদিকে, ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কাজের জটিল প্রক্রিয়া থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প একদিকে যেমন নিমেষে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে, অন্যদিকে তেমনি কৌশলে শুরু হয়েছে জনসংযোগের কাজও।