সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং নারী নিরাপত্তার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ করেছে বিজেপি। সম্প্রতি জেপি নাড্ডার (J.P.Nadda) কনভয়ে হামলার ঘটনার পর সেই অভিযোগ আরও জোরাল হয়েছে। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে গেরুয়া শিবিরের সেই অভিযোগই খারিজ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বহু বিজেপি (BJP) নেতাকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ হোক কিংবা উত্তরবঙ্গ সর্বত্রই গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের। তা নিয়ে আগেও একাধিকবার শাসক-বিরোধী তরজা হয়েছে। তার জবাবে মঙ্গলবার বিজেপিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বলেন, “আত্মহত্যা হলেও বলছে রাজনৈতিক খুন। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হলেও বলছে রাজনৈতিক খুন।” এছাড়াও রীতিমতো খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ২০০১ থেকে ১১ সাল পর্যন্ত ৬৬৩ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ ২০১১ সালের পর থেকে সেই সংখ্যাই অনেক কমেছে বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে কলকাতা ফেরত ২ যাত্রীর করোনা, নতুন প্রজাতির সংক্রমণ নয় তো? বাড়ছে উদ্বেগ]
এদিকে, বুধবারই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট করেন অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি টুইটে লেখেন, “২০২০ সালের কেবল আগস্ট মাসে ২২৩টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রদপ্তর পিসির নিয়ন্ত্রণাধীন থাকাকালীন বিগত ৯ বছরে মহিলাদের সুরক্ষা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মানব পাচার হোক বা অ্যাসিড হামলা, অপরাধীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এই রাজ্য। পিসি শুধু তাঁর ভোটার এবং ভোটব্যাংক নিয়ে মাথা ঘামিয়ে গেছেন। ধিক!”
বিজেপি নেতার দাবি খারিজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের নারী নিরাপত্তা যথেষ্ট আঁটসাঁট তা বোঝাতে খতিয়ান তুলে ধরেন। এছাড়াও কলকাতাকে সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসাবেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।