সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বালানির দাম ক্রমশ বাড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধিকে লাগাম পরাতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে তিন দফা দাবিও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স (Goods and Service Tax) বা জিএসটির (GST) জন্য ক্ষতিপূরণের মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধির দাবি জানালেন তিনি। পাশাপাশি, টোল ট্যাক্স মকুবের দাবিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম পরানোর লক্ষ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার টাস্ক ফোর্স, বাজার কমিটি-সহ একাধিক মন্ত্রীদের নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য থেকে সব টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। জিএসটি বাবদ প্রাপ্যও রাজ্যকে দিচ্ছে না। ইডি, সিবিআই দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে উত্যক্ত না করে তাদের দিয়ে বাজারে অভিযান চালান। তাহলে কালোবাজারি বন্ধ হতে পারে।” এর পরই কেন্দ্রকে জিএসটির ক্ষতিপূরণের মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভরতুকি রাজ্য সরকারের, বাড়ছে ‘সুফল বাংলা’র স্টল, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, ‘এক দেশ, এক কর’ লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশে ২০১৭ সালে জিএসটি চালু করে মোদি সরকার। সেই সময় বলা হয়েছিল, এই কর ব্যবস্থা চালুর পর ৫ বছর SGST ছাড়াও রাজ্য সরকারগুলিকে ক্ষতিপূরণ (GST Compensation) বাবদ টাকা দেবে কেন্দ্র। ২০২২ সালে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে আরও ৫ বছর এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা আরও অভিযোগ করেন, “সব পণ্যে সেস চাপাচ্ছে কেন্দ্র। সেস চাপানোর অর্থ সব টাকা কেন্দ্র নিয়ে যাচ্ছে। সেসের বদলে কর নিক। তাহলে রাজ্যও টাকা পাবে।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, “শ্রীলঙ্কায় আগুন জ্বলছে। আমাদের দেশেও মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। সব রাজ্য ঠিক করে বেতন দিতে পারবে কি না জানি না।”
জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে পরিবহণ ব্যবসার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রকে টোল ট্যাক্স মকুব করারও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর আরজি, “কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতির জন্য মানুষ ভুগছে। তাই এবার মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।”