ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ইউনেস্কোর (UNESCO) হেরিটেজ সম্মান পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। এবার সেই সম্মানের কথা ভেবেই একমাস আগে থেকে রাজ্যে পুজোর উদযাপন শুরু হয়ে যাবে। আগেই এ কথা ঘোষণা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি জানালেন, এক মাস আগে রাজ্যে বিশাল মিছিল হবে। যার সামনে থাকবেন রাজ্যের মহিলারা।
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। সেখানেই রাজ্যের সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার ডাক দিলেন তৃণমূলনেত্রী। বললেন, “বাংলা কী পারে না, দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) সেটাই দেখাতে হবে।” এর পরই দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসদের দায়িত্ব নিতে পরামর্শ দেন তিনি। দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দেন মমতা। জানিয়ে দেন আগামী কর্মসূচিও।
[আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
তিনি জানিয়েছেন, এক মাস আগে মিছিল করা হবে। সেখানে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে সামনে রেখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মেয়েরা শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি করবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সংখ্যালঘু মহিলারা নিজেদের মতো করে প্রার্থনা করবেন। আর বাকিরা শঙ্খধ্বনি-উলুধ্বনি করবেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুর্গাপুজোর একমাস আগে একটা মিছিল করব। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মা-বোনেরা শঙ্খ বাজাবে। সংখ্যালঘুরাও শামিল হবে। শঙ্খ উলুধ্বনি কাকে বলে বাংলা দেখবে।”
বাংলার দুর্গাপুজো মানেই মণ্ডপ এবং আলোকসজ্জায় চমক। ভিনরাজ্য তো বটেই, ভিনদেশ থেকেও দুর্গাপুজো দেখতে আসেন। গত আগস্ট মাসে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় স্থান পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ। ডিসেম্বরে আসে সেই স্বীকৃতি। তার পর থেকেই আনন্দে মেতে উঠেছে বঙ্গবাসী। তেলেঙ্গাবাগানে অকাল দুর্গাপুজো হয়েছে। বিশাল মিছিল করেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। রাজ্যের তরফেও জানানো হয়েছে, এবার রাজ্যে পুজো উদযাপন শুরু হবে ১ মাস আগে। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত নয়া কর্মসূচিও।