স্টাফ রিপোর্টার: আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল। বিকেল চারটেয় নতুন মন্ত্রীরা রাজভবনে শপথ নেবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পাঁচ-ছ’জন নতুন মন্ত্রী হবেন। বাদ পড়বেন চার-পাঁচজন। তবে তাঁদের সাংগঠনিক কাজে লাগানো হবে।
যেমন, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র তমলুক জেলা সভাপতি হয়েছেন। তাঁর জায়গায় ওই জেলা থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন বর্ষীয়ান নেতা বিপ্লব রায়চৌধুরী। মন্ত্রিসভায় বাবুল সুপ্রিয়র আসাও পাকা। মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। তিনি এবার মন্ত্রী হচ্ছেন। পাবেন কৃষিদপ্তর। সেক্ষেত্রে হয়তো শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে পরিষদীয় দপ্তর দেওয়া হবে। কোচবিহার থেকে মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন উদয়ন গুহ। উত্তর ২৪ পরগনার যুবনেতা পার্থ ভৌমিক ও হুগলির যুবনেতা স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই রদবদলের নতুন মুখ। বাদ পড়ছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পরেশ অধিকারী। এছাড়াও বাদ পড়তে পারেন হুমায়ুন কবীরও।
[আরও পড়ুন: জল নয়, ‘বিষ’পান করছেন দেশের অধিকাংশ মানুষ! খোদ কেন্দ্রের তথ্য ঘিরে ছড়াল উদ্বেগ]
কারা কারা মন্ত্রী হচ্ছেন তা নিয়ে রাতভর জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এতটাই কৌতূহল তৈরি হয় যে, অনেক মন্ত্রী সংশয়ের মধ্যে পড়ে যান তিনি মন্ত্রিসভায় থাকছেন কি থাকছেন না। নানাদিকে খোঁজখবর করতে থাকেন তাঁরা। আবার মন্ত্রী হওয়ার জন্য কারা ফোন পেয়েছেন বা পাননি, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়। প্রদীপবাবু, বিপ্লববাবুরা শপথের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মুখে কুলুপ আঁটেন উদয়ন গুহ, পার্থ ভৌমিকরা। নবান্ন সূত্র জানাচ্ছে, কারা শপথ নেবেন সেই তালিকা বুধবার সকালে প্রকাশ করা হবে। শুভ দিন বলেই কি বুধবার? সেই জল্পনা উসকে গিয়েছে?
এদিকে, শপথের পর দপ্তর বণ্টনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেক্ষেত্রেও যে বড়সড় রদবদল হবে সেই ছবিটাও স্পষ্ট। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে এবং ইডির হাতে বন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে অনেকগুলি বড় বড় দপ্তর ছিল। সেগুলি এবার বণ্টন হবে নতুনদের মধ্যে। ২০২১ সালে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল মন্ত্রিসভায় এটিই সবচেয়ে বড় রদবদল। অন্যদিকে, সাংগঠনিক স্তরে জেলায় জেলায় সভাপতি ও চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা হতেই তৃণমূলকর্মীরা অনেকটাই চাঙ্গা। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। নতুন সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব কাজ ফেলে পঞ্চায়েতের প্রক্রিয়া শুরু করতে। জেলাস্তরে আরও নির্দেশ গিয়েছে, সবদিক বিবেচনা করেই পদাধিকারী ঠিক হয়েছে। ফলে নতুন সভাপতি, চেয়ারম্যানদের মেনে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে। কোনওরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত হবে না।