সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লিতে এআইসিসি সদর দপ্তরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং এআইসিসি পর্যবেক্ষকদের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুললেন অধীর চৌধুরী। তিনি একযোগে অভিযোগ করলেন, ওপার বাংলার পরিস্থিতি প্রভাবিত করবে বঙ্গ রাজনীতিকে। এখনই সতর্ক হওয়া উচিত কংগ্রেসের। একই দাবিতে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি লিখেছেন দীপা দাশমুন্সী।
দীপা দাশমুন্সীর বক্তব্য, ওপার বাংলায় তৈরি হওয়া অচলাবস্থার ফায়দা এপার বাংলায় তুলতে চাইছে বিজেপি। এই মর্মে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠিও লেখেন তিনি। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশের হিংসা, অচলাবস্থা ও সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ-সহ অন্যান্য বিষয়ের উল্লেখ করে, বাংলাদেশে শান্তি ফেরানোর আবেদন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে চিঠি লেখার আবেদন করলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী।
[আরও পড়ুন: ফের প্যারোলে মুক্ত! বন্দিদশা এড়িয়ে ২১ দিনের জন্য ‘ছুটি’তে ধর্ষক রাম রহিম]
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তেলেঙ্গানার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীপা দাসমুন্সি সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতিকে একটি চিঠি লিখেছেন। যেখানে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে কাতারে কাতারে বাংলাদেশি শরণার্থী হিসাবে ভারতে ঢুকতে চাইছেন, সেই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। এমনিতেই বাংলাদেশি হিন্দুদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা বেশ শক্তিশালী। তার উপর হিন্দুত্বের কার্ড খেলে এই শরণার্থীদের নিজেদের ভোটব্যাঙ্কে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। এতখানি আক্রমণাত্মক না হলেও মঙ্গলবার ২৪, আকবর রোডের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তোলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, কে সি বেণুগোপাল, সহ বৈঠকে উপস্থিত অন্য ৫৫ জনের কাছে অধীর আবেদন করেন, ওপার বাংলার এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের শান্তির বার্তা পাঠানো উচিত। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে ওদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন করার কথা বলেছি। সবাই তাতে সহমত হয়েছেন।” তাঁর নিশানায় ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সরকার পতনে আমেরিকার হাত! গুঞ্জনের মাঝেই বিবৃতি আমেরিকার]
এদিকে, এদিন কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠকে ঠিক হয়েছে আদানি কেলেঙ্কারিতে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামবে কংগ্রেস। ২২ আগস্ট দেশের প্রত্যেক রাজ্যের রাজধানীতে এনফোর্মেন্ট ডিরেক্টরেট অফিস ঘেরাও করবে হাত শিবির। সর্বভারতীয় স্তরে জাতিগণনার দাবিতেও দেশজুড়ে চলবে নানা কর্মসূচি। এছাড়াও বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অচলাবস্থায় কেন্দ্র সরকারকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন করা হবে।