দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা আবহে (Corona Pandemic) আগামী বছরও কি পড়ুয়াদের নম্বরের প্রেক্ষিতেই মূল্যায়ন হবে? এখন থেকেই সেই নিয়েই ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়ে দিলেন, ২০২২ সালের মাধ্যমিক (Madhyamik) এবং উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের চাপে চলতি বছরে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। আগের শ্রেণিতে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ হয়েছে। করোনার প্রকোপে গত বছর মার্চ মাস থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় এবার স্কুলের কোনও ক্লাসের পরীক্ষাই হয়নি। আগামী বছরও এই অবস্থা জারি থাকলে মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তিত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
[আরও পড়ুন: Nadia: কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার BJP’র প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান]
এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “পর্ষদ এবং সংসদ আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব এখনও পাঠায়নি। এই কারনে ২০২২-এর মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” উল্লেখ্য, সিবিএসই ইতিমধ্যে দশম এবং দ্বাদশ-এর দিন ঘোষণা করে দিয়েছে। আইসিএসই বোর্ড ঘোষণা করেছে তাঁরা বছরে দু’টি সেমেস্টারের মাধ্যমে পরীক্ষা নেবে। দু’টি দিল্লি বোর্ডের তুলনায় এ রাজ্যে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে কয়েকগুণ বেশি পরীক্ষার্থী থাকে। করোনা অতিমারীর জেরে পরীক্ষা এবারও বাতিল হলে মূল্যায়ন পদ্ধতি কি হবে তা নিয়ে উদ্বেগে শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পড়ুয়াই পাশ করেছিল। তবে ২২ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, ১০০ শতাংশ নয়, উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৯৭.৬৯ শতাংশ পড়ুয়া। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এমনকী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও দেখায় অনেক স্কুলের পড়ুয়া। শেষপর্যন্ত চাপে পড়ে সমস্ত পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেয় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।