শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: একদিনের মধ্যেই সুর নরম। ‘জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি’ মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বললেন, “বসিরহাট, বাদুড়িয়া, রানিগঞ্জ, আসানসোল, ধুলাগড়ের মতো দাঙ্গা হোক চাই না। শীতলকুচির মতো ঘটনা হোক, সেটাও চাই না।”
শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচিতে প্রাণ গিয়েছে চারজনের। সেই ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। ঘটনার খবর পেয়েই উত্তরবঙ্গ পৌঁছেছিলেন মমতা। শীতলকুচির অবস্থা বিবেচনা করে ৪৮ ঘণ্টা ওই এলাকায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিল সবমহল। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বরাহনগরের নির্বাচনী সভা (West Bengal Assembly Elections) থেকে হুমকির সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সকলে ভোট দিতে যাবেন। কেউ যদি বাধা দেয়, কোনও কথা শুনবেন না। আমরা সব দেখে নেব। মাথায় রাখবেন কেউ বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” এই মন্তব্যে কার্যত তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি।
[আরও পড়ুন : ‘পকেটে ইস্তফাপত্র নিয়ে ঘুরছি’, ধূপগুড়ির সভা থেকে মমতাকে ফের পালটা চ্যালেঞ্জ শাহের]
এই মন্তব্যের কারণে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধিরা। তাঁর প্রচার বাতিলের দাবি জানিয়েছিল। রাজ্য বিজেপি সভাপতির বহিষ্কারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই সোমবার সুতির সভায় শীতলকুচি নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ালেন দিলীপ। বললেন, “শীতলকুচির (Sitalkuchi) মতো ঘটনা হোক চাই না। মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটাই চাই।” উল্লেখ্য, শুধু দিলীপ ঘোষ নন, সায়ন্তন বসু ও রাহুল সিনহাও শীতলকুচির ঘটনার সমর্থন করেছেন। যার জেরে তীব্র কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।