গোবিন্দ রায়: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ। এবার আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েতের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে গত ১২ জুন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলাদা করে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের কাজে নজরদারি করার জন্যই এই পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এমনটাই দাবি করে এবার আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন এই অতিসক্রিয়তা? সেই প্রশ্নও উঠেছে।
[আরও পড়ুন: ভাঙড়ের পর অশান্ত ক্যানিং, মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের অন্তর্কলহ চরমে, ব্যাট-উইকেট নিয়ে আক্রমণ!]
এই মামলায় রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার উপর আরেকটি বিধিবদ্ধ সংস্থা এভাবে নজরদারি করতে পারে না। তাঁদের যুক্তি, নির্বাচনে যেকোনও ধরনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা একমাত্র নির্বাচন কমিশনের আছে। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদের দায়িত্ব নিলেছেন রাজীব সিনহা। দায়িত্ব নিয়েই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেন। আগামী ৮ জুলাই এক দফায় গোটা রাজ্যে ভোট হওয়ার কথা। এদিকে গত ১২ জুন মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। জানানো হয়েছিল, কমিশনের ডিজি (তদন্ত) কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করবেন।