দীপঙ্কর মণ্ডল, বোলপুর: সিপিএমের ‘অত্যাচার’ থেকে মোদির ‘দিদি ও দিদি’ ডাক, শুভেন্দু থেকে নগেন্দ্র, সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ফেসবুক লাইভে সব ইস্যুতে সোজা ব্যাটে খেললেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)।
আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল, ডানপন্থী পরিবারের সন্তান তিনি। ছোট বেলা থেকে নাকি সিপিএমের অত্যাচার দেখেছেন, তাই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সিপিএমকে উৎখাত করবেন। সে জন্য প্রথমে কংগ্রেস পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে সিপিএমকে উৎখাতের লড়াই করেছেন। নিজস্ব ভঙ্গিতে এমনটাই দাবি করলেন অনুব্রত। সেই সঙ্গে দাবি করলেন এবার বামেদের দখলে থাকা নানুরও জিতবেন তাঁরাই।
তবে অষ্টম তথা শেষ দফায় বীরভূমে ভোটের কিছু আগেই ‘দাবাং’ অফিসার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে বীরভূমের এসপি করে আনা হয়েছে। অনেকে বলছেন অনুব্রতর ভোট মেশিনারিকে নিয়ন্ত্রণ করতেই নাকি এই রদবদল। তবে তাতে যে ভোটে কোনও তফাৎ হবে না, তা জানিয়ে দিলেন অনুব্রত। তাঁর দাবি ভোট তো পুলিশ করে না, করে কর্মীরা। আগের মতোই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হবে। কোনও সমস্যা হবে না কোথাও। আর তাঁকে শো কজ করা নিয়েও তিনি যে বিশেষ চিন্তিত নন, তাও জানিয়ে দিলেন।
[আরও পড়ুন: কুম্ভমেলায় গঙ্গাস্নানে এসে করোনা আক্রান্ত নেপালের রাজা-রানি]
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি ও দিদি’ বলে প্রধানমন্ত্রীর ডাককেও পালটা কটাক্ষ করেছেন অনুব্রত। এটা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সাজে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেন আমি যিদি নরেন ও নরেন বলি ডাকি সেটা কি বাংলার মানুষ মেনে নেবেন? মেনে নেবেন না। আর বিজেপি অসম বা ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেই বা কী করেছে, সে প্রশ্নও তোলেন অনুব্রত। তাই এবারও তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে। আর আগের থেকে বেশি ২২০ থেকে ২৩০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে। আর ক্ষমতায় ফেরার পর যদি কেউ আবার বিজেপি ছেড়ে দলে আসে তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই ভেবে দেখা হবে। শুভেন্দু বা রাজীব যদি ফিরতে চান, সেক্ষেত্রে দলনেত্রীই তা বিবেচনা করবেন বলে জানান অনুব্রত। তবে শুভেন্দু যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বেগম’ বলে কটাক্ষ করেন, তা মানুষ মেনে নিচ্ছে না। ভোটের ময়দানে যে খেলা হবে, তা আরও একবার জানিয়ে দিলেন অনুব্রত।