সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে এক দিকে তখন দ্বিতীয় দফার ভোটে হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভোট গ্রহণ চলছে। আর ঠিক সেই সময়ই দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Paraganas) আর হাওড়ায় (Howrah) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) লাগাতার আক্রমণ করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এমনকী নন্দীগ্রামে বয়ালের একটি বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় ২ ঘণ্টা বসে থাকার প্রসঙ্গও টানেন মোদি। সেই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, “নন্দীগ্রামে যা হল তাতে দিদি বুঝে গিয়েছেন হারছেন। দিদির মুখই এক্সিট পোল।”
প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের পরে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় নির্বাচনী সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উলুবেড়িয়ায় তিনি যখন বক্তৃতা দিতে ওঠেন ততক্ষণে নন্দীগ্রামের বয়াল-২ এর ৭ নম্বর বুথ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দুপুরে বয়ালের ওই বুথে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছতেই এক দিকে তাঁকে ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’ ওঠে অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীরা ভোট দানে বাধা পাওয়ার অভিযোগ করেন। বুথে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলার পর প্রায় ২ ঘণ্টা সেখানে বসে ছিলেন। সেখান থেকে রাজ্যপালকেও ফোন করেন। সেই প্রসঙ্গই উঠে আসে নরেন্দ্র মোদির উলুবেড়িয়ার সভার বক্তব্যে।
[আরও পড়ুন: প্রথম দু’দফাতেই স্পষ্ট বাংলায় দু’শোর বেশি আসন পাবে বিজেপি, জয়নগরের সভায় দাবি মোদির]
মোদি সরাসরি দাবি করেন, মমতাদিদি বুঝে গিয়েছেন তিনি হারছেন। তাঁর মুখই এক্সিট পোল। এমনকী তিনি অন্য কোনও আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন কিনা কটাক্ষের সুরে সে প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন মোদি। তাঁর দাবি, “শোনাও যাচ্ছে অন্য কোনও আসনে দিদি মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন। তবে যেখানেই যান বাংলার মানুষ তৈরি রয়েছেন। মানুষ আপনাকে সাজা দিয়েই ছাড়বেন।”
শুধু নন্দীগ্রাম নিয়ে কটাক্ষ করারই নয়, তৃণমূলের আমলে বাংলার উন্নয়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি বলেন, “এই ভোটে মমতাদিদি কি তাঁর ১০ বছর শাসনের হিসাব দিচ্ছেন? দিচ্ছেন না। কারণ তাঁর কাছে হিসাব দেওয়ার কিছু নেই।” আমফানের ত্রাণের টাকা শুরু থেকেই বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের অ্যাজেন্ডায় থেকেছে। কলকাতা লাগোয়া জেলা হাওড়াতেও ভাল প্রভাব পড়ে। তাই হাওড়ার উলুবেড়িয়াতেও আমফান প্রসঙ্গ তোলেন মোদি। তাঁর প্রশ্ন, “আমফানের ত্রাণের টাকা কোথায় গেল?” কটাক্ষ করে বলেন, “আচ্ছ দিদি উত্তর না দিক ভাইপো অন্তত দিক।”
রাজ্যে ক্ষমতায় এলে পাট, আলু, পান চাষিদের অবস্থা ফেরাতেও ব্যবস্থা। পিএম কিষাণ যোজনায় কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেও দাবি করেন মোদি। একই রকম পরিকল্পনা মৎস্যজীবীদের জন্যও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। শিল্প বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রেও ফের একবার ডবল ইঞ্জিন তত্ব সামনে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।