রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: হিংসার আবহেই শুরু রাজ্যের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। ৫ জেলার ৩০ আসনের নির্বাচন শুরুর আগের রাতেই একাধিক জায়গা থেকে মিলেছে হিংসার খবর। শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকে দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন পটাশপুর থানার ওসি। আক্রান্ত এক আধাসেনা জওয়ানও। হিংসার খবর মিলেছে পুরুলিয়া এবং কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্র থেকেও। খেজুরিতে রাতভর বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি।
পুলিশ সূত্রের খবর, নৈশ টহল দেওয়ার সময় পটাশপুর থানার আড়গোয়ালের সাতসতমালে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। আহত হন ওসি ও এক আধা সেনা জওয়ান। জখম ওসিকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। আহত জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হতে পারে বলে খবর। ঘটনায় রাতভর এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা। উত্তেজনার আঁচ অবশ্য শুধু পটাশপুরে সীমাবদ্ধ থাকেনি। কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্র থেকেও মিলেছে হিংসার অভিযোগ। গতকাল গভীর রাতে রাইপুর অঞ্চলের ১৫০ নম্বর সিরিয়া বুথে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূলের লুঙ্গিবাহিনী এদিন পিস্তল, তলোয়ার এবং ছুরি নিয়ে এসে আক্রমণ করে তাঁদের উপর। ২ বিজেপি কর্মী আহত হন। এই ঘটনায় একজনকে আটকও করেছে পুলিশ। যদিও, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতেও গতকাল রাত থেকে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এমনকী গুলিও চলেছে বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। তাঁর দাবি, তৃণমূলের তরফে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। যদিও শাসক শিবির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
[আরও পড়ুন: বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতীয় জনসংঘ! ভোটে ১৭৫ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত]
পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও গতকাল রাতে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরুলিয়া সদর কেন্দ্রও। সেখানে আবার তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। গতকাল ভোররাতে বুথে কাজ করার সময় আক্রমণের অভিযোগ গেরুয়া শিবির আক্রান্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আহত ৫ তৃণমূল কর্মীকে ভরতি করতে হয়েছে হাসপাতালে।